দুর্ভোগ: পরীক্ষার্থীরা। নিজস্ব চিত্র
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বামনগোলার পাকুয়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন শম্পা বর্মন। পাকুয়াহাট কলেজে শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পরীক্ষার আসন পড়েছে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মালদহ মহিলা কলেজে। এ দিন প্রায় ৪০ মিনিট স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েও গাড়ি পাননি। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে শেষ পর্যন্ত পণ্যবোঝাই একটা লরিতেই উঠে পড়তে হল তাঁকে। তাঁর মতো অনেক ছাত্রীই এ দিন লরিতে গিয়েছেন।
মোটর ভেহিক্লস বিলের বিরোধিতা করে দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহণ সংগঠনগুলির একাংশ। এ দিন ধর্মঘটের সমর্থনে একযোগে রাস্তায় নামেন জেলার সিটু, আইএনটিইউসির নেতা-কর্মীরা। ধর্মঘটের জেরে নিত্যযাত্রীদের মতো বিপাকে পড়েন পড়ুয়ারাও। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ-সহ দুই দিনাজপুরের কলেজগুলিতে এ দিন ছিল অর্নাসের পরীক্ষা। সর্বত্রই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় পরীক্ষার্থীদের।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ ও দুই দিনাজপুরের ২২টি কলেজে পরীক্ষা চলছে। এ দিন ছিল প্রথম বর্ষের অর্নাসের দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। তিন জেলা মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার অর্নাস পরীক্ষার্থী রয়েছেন। হোম সেন্টার উঠে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের অনেকটা পথ পেরিয়ে পৌঁছতে হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে।
দক্ষিণ মালদহ কলেজের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে পুরাতন মালদহের গৌড় মহাবিদ্যালয়ে। ইংরেজি অর্নাসের ছাত্রী নাফিসা সুলতানা বলেন, ‘‘১৬ মাইল থেকে সরকারি পরিবহণ নিগমের বাসে উঠেছিলাম। ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকাই দায়। রথবাড়িতে দেখি অবরোধ চলছে। বাস থেকে নেমে টোটোয় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে হয়।’’
এ দিন রাষ্ট্রায়ত্ত বাস অবশ্য চলেছে। বেসরকারি বাস পুরোপুরি বন্ধ ছিল। জেলার সমস্ত রুটে প্রায় তিন শতাধিক বেসরকারি বাস রয়েছে। ছোট গাড়ি বা পণ্যবাহী লরিতেই ঝুঁকি নিয়ে ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করেন পরীক্ষার্থীরা। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘সুষ্ঠু ভাবেই পরীক্ষা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy