Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

সাড়া মিলল না এসইউসির বন্‌ধে

পুরভোটের মুখে বৃষ্টি ভেজা জলপাইগুড়ি শহর এসইউসি-র ডাকা বনধে সাড়া দিল না। দিনভর যানবাহন চলল স্বাভাবিক ছন্দে। খোলা ছিল বাজার। সকালে বনধের সমর্থনে পিকেটিং করতে গেলে পুলিশ ১৪ জন এসইউসি কর্মীকে গ্রেফতার করে। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সীমা হালদার বলেন, “বনধের কোনও প্রভাব শহরে পড়েনি। স্কুল কলেজে স্বাভাবিক নিয়মে পঠন পাঠন হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক ছিল।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:২২
Share: Save:

পুরভোটের মুখে বৃষ্টি ভেজা জলপাইগুড়ি শহর এসইউসি-র ডাকা বনধে সাড়া দিল না। দিনভর যানবাহন চলল স্বাভাবিক ছন্দে। খোলা ছিল বাজার। সকালে বনধের সমর্থনে পিকেটিং করতে গেলে পুলিশ ১৪ জন এসইউসি কর্মীকে গ্রেফতার করে। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সীমা হালদার বলেন, “বনধের কোনও প্রভাব শহরে পড়েনি। স্কুল কলেজে স্বাভাবিক নিয়মে পঠন পাঠন হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক ছিল।” যদিও এসইউসি নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের বনধ সফল হয়েছে। দলের জেলা সম্পাদক তপন ভৌমিক বলেন, “বন‌ধের সমর্থনে মাত্র এক দিন প্রচার হয়েছে। তাতেও ভাল সাড়া মিলেছে।” দলের ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র জেলা সভাপতি সুজয় লোধ বলেন, “ছাত্র ধর্মঘট সফল।’’

শহরের কোরানি পাড়া এলাকায় বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণ ধর্ষণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলা দায়রা আদালত সংলগ্ন মার্চেন্ট রোড অবরোধ করে একদল এসইউসি সমর্থক। আন্দোলনে পুলিশের লাঠি চালনার প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে ১২ ঘণ্টা বন‌্ধের ডাক দেওয়া হয়। শহরের বাইরে জেলা জুড়েও ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় ডিএসও। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, বন‌্ধ বা ছাত্র ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়েনি।

শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির জেরে এমনিতেই এ দিন শহরের রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। সরকারি দফতরগুলি ছুটি থাকায় ভিড় ছিল না কোথাও। কিন্তু দিনবাজার, স্টেশন বাজার, কদমতলা-সহ শহরের সর্বত্র হোটেল, দোকান, শপিং মল, শো রুমগুলি খোলা ছিল। ব্যাঙ্কগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।

ফণীন্দ্রদেব ইন্সটিটিউটে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ হয়েছে। খোলা ছিল ডাকঘর, স্কুল, জেলা দায়রা আদালতও। সকালে এসইউসিআই কর্মী সমর্থকরা বৃষ্টিতে ভিজে বিভিন্ন স্কুলের সামনে পিকেটিংয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। এদিন কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরের পরীক্ষাও হয়েছে। জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ধীরাজ বসাক বলেন, “কলেজ খোলা ছিল। ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিয়েছে।” প্রসন্নদেব মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শান্তি ছেত্রী বলেন, ‘‘ বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা টের পাইনি।”

শহরের যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সরকারি-বেসরকারি বাস, অটো, টোটো, রিকশা চলাচল করেছে অন্যদিনের মতোই। জেলা বেসরকারি পরিবহণ জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির আহ্বায়ক সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, “শহর থেকে জেলার বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করেছে।” চেম্বার অব কমার্সের সদস্য অভিজিৎ মিত্র বলেন, “শহরের সমস্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এ দিন খোলা ছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

SUCI Jalpaiguri DSO police strike Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE