লড়াকু: রূপান্তরকামী আন্দোলনের মুখ সুমি দাস। নিজস্ব চিত্র
তিনিও লড়াইয়ের একজন অংশীদার। সেই ছোটবেলা থেকে কত কথা শুনতে শুনতে হতাশ হয়ে পড়ত। কেউ বলত, “এই লেডিস’, কেউ ‘এই হিজড়া’ কেউ আবার এই ‘বৌদি’। হার মানেননি তবুও। সেই ১৪ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের লড়াইটা নিজেই লড়েছেন। বৃহস্পতিবার সমকামিতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তাই খুশিতে আপ্লুত কোচবিহারের বাসিন্দা সুমি দাস।
একসময় অরিন্দম দাস নামেই পরিচিত ছিলেন সুমি। সুমি বলেন, “এই জয় ভালবাসার। প্রত্যেক মানুষের ভালবাসার, বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য বিচারপতি তাতেই রায় দিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আজ খুব ভাল হয়েছে। মনে হচ্ছে একটা বড় জয় হয়েছে।”
সুমি দাস আদতে দিনহাটার বাসিন্দা। মেয়েলি স্বভাবের জন্যেই তাঁকে সবাই উপেক্ষা করতে শুরু করে। ছোটবেলাতেও বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। পরে বেঁচে থাকার জন্যে একাধিক জায়গায় কাজ করেন। সে সবের মধ্যে দিয়েই নিজেদের অধিকার আদায়ে লড়াই চলতে থাকে তাঁর।
ধীরে ধীরে রূপান্তরকামীদের নিয়ে সংগঠন গড়ে তোলেন তিনি। মৈত্রীসংযোগ সোসাইটি নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করে শুরু করেন আন্দোলন। ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি পত্রিকা প্রকাশের কাজও শুরু করেন। এই লড়াইয়ের সম্মানও তিনি অবশ্য পেতে শুরু করেছেন। লোক আদালতে কোচবিহারে তাঁকে জজের চেয়ারে বসিয়ে তাঁকে সম্মান দেওয়া হয়। আমেরিকা গিয়েও সুমি নিজেদের অধিকার আদায়ে বক্তব্য পেশ করেছেন।
সুমির কথায়, “এই জীবন লড়াই ও ভালবাসার। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাই আমি খুব খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy