সূচনা: জলপাইগুড়িতে রবিবার পুলিশের টুর্নামেন্টের ফাইনালের আগে মাঠে স্বপ্না বর্মণ। ছবি: সন্দীপ পাল।
স্কুলে ঢুকতেই শুনলেন, ‘‘স্বপ্না আমাদের স্কুলের একটা মাঠের ব্যবস্থা করে দে!’’—এক সময়ের ছাত্রীকে অনুরোধ পাতকাটা বিএফপি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। রবিবার সকালে স্বপ্নার ঘোষপাড়ার প্রাইমারি স্কুলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে উৎসবের আমেজ। স্বপ্নার আবেগে ভাসল গোটা গ্রাম।
স্বপ্নার শৈশবের এই স্কুল। বাঁধ ভাঙা আনন্দে শৈশবের স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে সেলফিতে মেতে উঠলেন তিনি। আর এই বিদ্যালয় থেকেই প্রাথমিক শিক্ষক বিশ্বজিৎ কর তাঁকে জেলা স্তরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পরবর্তীতে রাজ্য স্তরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আসরে নিয়ে যান। তাতেই জীবনের প্রথম সোনা জেতে ছোট্ট স্বপ্না। তারপর আর পেছনে ঘুরে তাঁকাতে হয়নি সেই স্বপ্নাকে। আজ বিশ্ব জানে তাঁর নাম। এশিয়াডে হেপ্টাথেলনে সোনা জিতে বিশ্ববাসীর মন জয় করেছে সোনার মেয়ে স্বপ্ন বর্মন। এই কারণে স্বপ্নার কাছে তাঁদের দাবি ছিল একটু আলাদা। মানপত্র ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়ার পরে নিজেদের স্কুলের অভাব অভিযোগ তুলে ধরলেন স্বপ্নার কাছে।
স্কুল পড়ুয়াদের খেলাধুলোর একটি মাঠ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ পরিকাঠামো উন্নয়ন দাবি জানানো হয়৷ এ দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ কর বলেন, ‘‘পানীয় জলের ভাল ব্যবস্থা, বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো বিষয়টি স্বপ্না যথা স্থানে জানালে গুরুত্বটা আলাদা পাবে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রী সহ সকলের দাবি। এতটুকুই দাবি ও অনুরোধ।’’
এ দিন স্বপ্না জানান, ‘‘আমার এখন শুধু একটাই লক্ষ্য অলিম্পিকে সেরা হওয়া। আর এই লক্ষ্যেই শীঘ্রই অনুশীলনে নামতে চাই। আমি যতটা ভেবেছিলাম তার থেকে অনেকটাই বেশি আনন্দ পেলাম বাড়িতে এসে। আগে যখন আসতাম কেমন ছিল এবারে পুরোটাই আলাদা। একদম আলাদা অনুভুতি হচ্ছে৷ কলকাতার সাই এ গিয়ে দ্রুত প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে। এখানে মায়াতে বন্দি হয়ে থাকতে হবে। সোমবার সকালে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিব। তবে আজকে আমার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু দাবি রাখেন। আমি যথা স্থানে জানাব। জানি না আমার কথায় কাজ হবে কি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy