তৃণমূল ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে রাজ্য টি ডিরেক্টরেট গঠন করেছে। ১০০ কোটি টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু, চা শিল্পে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের অনেকেরই তাতে মন ভরেনি। মালিকপক্ষ জমির সেস সহ রাজ্যকে দেয় না না ফি কমানোর দাবিতে সরব। তেমনই, শ্রমিকপক্ষ ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে রাজ্যের কাছে ভর্তুকির আশা করছে। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব টি প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কার্সের প্রবীণ নেতা অলোক চক্রবর্তী চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য রাজ্য বাজেটে কিছু ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন।
তবে টি ডিরেক্টরের সদস্য তথা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘চা শ্রমিকদের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী অনেক কিছু করেছেন। আরও অনেক কিছুর পরিকল্পনাও নিয়েছেন।’’
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের পুরনো চা উৎপাদনকারী বাগানগুলোর মালিকেরা আশা করছেন, যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে রাজ্য সাধ্য মতো ছাড় দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে শতবর্ষ প্রাচীন বাগানগুলো কারখানা আধুনিকীকরণের পথে এগোনোর কথা বেশি করে ভাবতে পারে। ডুয়ার্সের অধিকাংশ চা বাগান সিটিসি চা উৎপাদন করে। সেখানেও নতুন যন্ত্র কেনার ছাড়ের আর্জি রয়েছে। ডিবিআইটিএ সচিব সুমন্ত গুহ ঠাকুরতা বলেন, ‘‘রুগ্ণ বাগানগুলোর ক্ষেত্রে জিএসটি ও ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেওয়ার দাবি রয়েছে। চা বাগানে সেচ ব্যবস্থায় সুবিধের দাবিও রয়েছে। যন্ত্রাংশ কেনাতেও ছাড় দিতে হবে।’’
আইটিপিএ-র উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী জানান, অন্তর্বর্তীকালীন ভিত্তিতে ১৭.৫০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি হওয়ায় মালিকপক্ষ এমনিতেই খুব চাপের মধ্যে৷ সামনে মরসুম শুরু হলেও সেই চাপ তাঁরা কতটা সামলাতে পারবেন, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁরা চান, চা শিল্পকে চাঙ্গা করতে কৃষি ভিত্তিক শিল্পের আওতায় এনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড়ের ব্যবস্থা করা হোক৷
ক্ষুদ্র চা চাষিরাও সরব হয়েছেন। কারণ, আশির দশকের শেষ সময় থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় ছোট ছোট চা বাগানের জন্ম৷ ২০০০ সালের পর সেই সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়৷ বর্তমান এই জেলায় প্রায় কুড়ি হাজার ক্ষুদ্র চা চাষি রয়েছেন৷ কিন্তু অভিযোগ, কাঁচা পাতার দাম না পেয়ে তাদের অনেকেই অন্য পেশায় চলে যেতে চাইছেন৷ জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কৃষি ফসল বিমা যোজনায় ক্ষুদ্র চা চাষিদের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন৷ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডও দেওয়া হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy