প্রতীকী ছবি
সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গ সফরে আসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সফরে কি চা শ্রমিকদের জন্য কোনও ‘খুশি’র খবর আসতে চলেছে, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে চলছে এমনই আলোচনা।
সফরে উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক একই সঙ্গে হওয়ার কথা। উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ চা বাগান এই দুই জেলাতেই রয়েছে। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগান এবং চা শ্রমিকদের জন্য কোনও খুশির খবর শোনাতে পারেন বলে আলোচনা চলছে।
প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রাজনৈতিক সূত্রের খবর, শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত ঘোষণা থাকতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে আন্দোলন চলছে। শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ‘চা সুন্দরী’ আবাসন নিয়েও কোনও ঘোষণাও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুজো উপলক্ষে রাজ্য সরকারের তরফে চা শ্রমিকদের কোনও ‘উপহার’ দেওয়া হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ঘোষণা যাই হোক, বৈঠকে চা প্রসঙ্গ যে থাকছে সে বিষয়ে দাবি প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সূত্রের।
এর মধ্যেই চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস ঘোষণা হয়েছে। যা তাদের কৃতিত্ব বলে দাবি করেছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। গত লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার আসনে তৃণমূলকে বিপুল ভোটে হারিয়েছিল বিজেপি। দুই জেলার চা বাগান তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এমন ফলাফল হয়েছিল বলেই মনে করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই বাগানের জমি উদ্ধারে নানা কৌশল নিয়ে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়মিত চা বাগানে পাঠানো হচ্ছে। দলের একাধিক চা শ্রমিক সংগঠনকে এক ছাতার তলায় এনে সংগঠনের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এছাড়া টিম পিকে নেমেছে চা বাগানে।
সূত্রের খবর. চা শ্রমিকদের পানীয় জল, পরিবারের বিকল্প কাজের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে পিকে-র টিম রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেগুলি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা থাকতে পারে বলে একটি সূত্রের দাবি। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “চা শ্রমিক এবং চা বাগানের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী আজ পর্যন্ত যত সদর্থক পদক্ষেপ করেছেন, তার নজির গোটা দেশের ইতিহাসে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy