ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।
আগের দিনই স্কুলে গিয়ে নিহতের পরিবার সহ এলাকাবাসীর তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুল মাঠের কাছ থেকেই ফিরে আসতে হয়েছিল শিক্ষক শিক্ষিকাদের। বৃহস্পতিবার স্কুলে যাওয়ার সাহসই পেলেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাই পুজোর আগে স্কুল খোলা নিয়েই অনিশ্চিয়তা থেকেই গেল ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে। ফলে, ১৯০০ ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দাড়িভিট কাণ্ডের পরে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দিন। আজও তালা বন্ধ স্কুল।
ইতিমধ্যেই স্কুল খোলা নিয়ে স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে দু’টি বৈঠক করেছেন প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু প্রশাসনিক কর্তা ও প্রধান শিক্ষক ছাড়া স্কুল খুলতে গিয়েই বুধবার তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। তাই বৃহস্পতিবার আর স্কুলমুখোই হননি শিক্ষক শিক্ষিকারা। শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, তাঁরা উভয় সঙ্কটে পড়েছেন। কারণ, স্কুলে ঢুকতে গেলে বাধা মিলছে। না গেলে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের একাংশ দূষছেন তাঁদেরই।
যদিও নিহত তাপস বর্মণের মা মঞ্জু বলেন, ‘‘ঘটনার সিআইডি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত স্কুল খুলতে দেওয়া সম্ভব নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হলে আমরা দুই মা গেট খুলে দেব।’’ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবকেরাই। নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনও আটকে রয়েছে। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা নিয়েও চিন্তায় ছাত্রছাত্রীরা।
তবে এদিন স্কুলে না গেলেও শিক্ষকেরা গিয়েছিলেন ইসলামপুরে সহকারী শিক্ষা পরিদর্শকের অফিসে। সেখানে বিষয়টি জানান তাঁরা। ওই স্কুলের ভূগোল শিক্ষক নিতাই চন্দ্র কীর্তনিয়া বলেন, ‘‘আমরা স্কুল যাওয়ার জন্য তৈরি রয়েছি। গত দুই দিন স্কুল মাঠ পর্যন্ত গিয়েও বাধার মুখে পড়তে হয়।’’জেলার ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক সুজিত কুমার মাইতি বলেন, ‘‘কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেটা যথা সময়ে জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy