উদ্বোধন: গানের অ্যালবামের টিজার উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র
গত চার দশকের বেশি সময়ের শিলিগুড়িকে ঘিরে টুকরো টুকরো স্মৃতি, ঘটনার কথা লিপিবদ্ধ করে বই প্রকাশের কথা বললেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তবে তা একেবারেই আত্মজীবনী হবে না তাও জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। রবিবার বিকালে শিলিগুড়ির সরকারি অতিথি নিবাস মৈনাকে মন্ত্রীর রবীন্দ্র সঙ্গীতের অডিয়ো-ভিডিও অ্যালবাম-‘এ জীবন পূণ্য করো’র পোস্টার এবং টিজার প্রকাশ করা হয়। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আটটি কবিতা এবং গৌতমবাবুর আটটি রবীন্দ্র সঙ্গীতকে অ্যালবাম বন্দি করার কাজ শেষ হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের ১ জানুয়ারি অ্যালবামের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছোট্ট অনুষ্ঠানে রাজনীতি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি জগতের মানুষজনের সঙ্গে ভাললাগা, ভালবাসাগুলি নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী গৌতম দেব। সেখানেই তিনি তাঁর জীবনের ৪৫ বছরের নানা স্মৃতি, গল্প, ঘটনা একজোট করার কাজ শুরু করেছেন বলে জানান। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘আত্মজীবনী লেখার ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি অতবড় মানুষ নই। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বহু স্মৃতি, মানুষ, ঘটনার সাক্ষী আমি। কিছু লেখা লিখেও ফেলেছি। একটা সরল, স্মৃতি পাতায় মোড়া বই তৈরি করছি।’’
গত নভেম্বর থেকে অবশ্য তাঁর গানের অ্যালবামের কাজ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছিল। ছ’মাসে করোনা প্রকোপের প্রথম দিকে ফেসবুক লাইভে মাঝে মাঝেই তাঁকে কেউ কেউ গানের
অনুরোধ করতেন। দু’এক কলি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে দিতেন তিনি। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের শিক্ষক অনিন্দ্য সরকার মজুমদার মন্ত্রীর গানের প্রতি আন্তরিকতা দেখে তাঁকে উৎসাহ দিয়ে গীতবিতানও উপহার দেন। তার পরেই মন্ত্রীর রেওয়াজ শুরু। রেকর্ডিং-র ভাবনা ঠিক হতেই গানের ফাঁকে ফাঁকে রবি ঠাকুরের কবিতা রাখার পরিকল্পনা থেকেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ।
এক জন পার্টি না করেও আদ্যন্ত বামপন্থী এবং বাংলা সংস্কৃতি জগতে নক্ষত্র বিশেষ। অন্য জন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী। দু’জনের মধ্যে আলাপও ছিল না। অথচ এখন হৃদ্যতা এমন জায়গায় যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে কুশল জিজ্ঞাসা করেছেন গৌতমবাবু। দু’জনকে ‘মিলিয়েছেন’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘সৌমত্রবাবুর কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy