দিন কয়েক আগেই ইঙ্গিতটা মিলেছিল৷ অবশেষে দলের দশ জেলা শীর্ষ নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দিল আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি৷ পদ খোয়ানো নেতাদের মধ্যে তিন জন জেলার সহ সভাপতি ও চার জন জেলা সম্পাদক রয়েছেন৷ এ ছাড়াও ওবিসি মোর্চা, কিসান মোর্চা ও চা শ্রমিক ইউনিয়ন বিটিডব্লিউইউ-এর সভাপতি পদেও নতুন মুখ আনা হয়েছে৷
আলিপুরদুয়ারে এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয় পেয়েছে তৃণমূল৷ কিন্তু জেলার একাধিক এলাকায় ভাল ফল করে বিজেপি৷ ৬৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে আটটি সরাসরি দখল করে তারা৷ এ ছাড়াও ছ’টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে কুমারগ্রাম বিজেপির দখলে যায়৷ ওই এলাকার একটি জেলা পরিষদ আসনেও বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করেন৷ যদিও পরবর্তী কালে দলবদলের ফলে আটটির মধ্যে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে৷
এত ভাল ফলের পরেও রদবদল কেন? বিজেপি সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে আসানসোলে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়৷ সেখানেই আলোচনায় উঠে আসে বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা নেতাদের একাংশ যথেষ্ট সক্রিয় নন৷ তাঁরা সক্রিয় থাকলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় ফল আরও ভাল হত বলেও মত জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের৷ সূত্রের খবর, তখনই দলের রাজ্য নেতাদের তরফে জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়, নিষ্ক্রিয় নেতাদের যেন পদ থেকে সরানো হয়৷ তাঁদের জায়গায় এক সময় সক্রিয়, অথচ, নানা কারণে জেলা কমিটি থেকে বাদ যাওয়া নেতা বা নানা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসা নেতাদের যেন পদ দেওয়া হয় সে ব্যাপারেও জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়৷
বিজেপি সূত্রের খবর, এর পরেই জেলায় দলের নিষ্ক্রিয় নেতাদের সরিয়ে দিতে তৎপরতা শুরু হয় বিজেপির অন্দরে৷ সেই অনুযায়ী জেলা কমিটির ওই সাত জন নেতাকে চিহ্নিত করা হয়৷ তাঁদের জায়গায় নতুন সাত জনকে ওই পদগুলিতে বসানো হয়েছে৷ এ ছাড়াও ওবিসি মোর্চা, কিসান মোর্চা ও বিটিডব্লিউইউ-তেও একই কারণে পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জেলা শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন৷ বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক কাজে গতি আনতেই কিছু পদে পরিবর্তন করা হয়েছে৷ এটা রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই হয়েছে৷ যাঁরা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন তাঁদেরও দলের আরও অন্য কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy