Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মোমো উদ্বেগ সর্বত্রই

মুখেমুখে ‘মোমো-ভূত’-এর গল্প ছড়িয়েছে গোটা কায়েত পাড়াতেই। অভিভাবকেরা পড়ুয়াদের মোবাইল নজরে রাখছেন। ওই তরুণী এখনও থানায় অভিযোগ জানাননি। তবে নম্বরটি ব্লক করে দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৮ ০২:৪১
Share: Save:

মোমো নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সর্বত্র। ‘‘মোবাইলে ভূত ঢুকেছে, তাই মোবাইল ব্যবহার বন্ধ’’—মা, ঠাকুমার এমন ফতোয়ায় বিপাকে পড়েছেন এক কলেজ ছাত্রীও। আতঙ্ক নয়, এখন তাঁর রাগ হচ্ছে ‘মোমো’র উপর। কারণ ‘মোমো’র ছবি দেখেই মা, ঠাকুমার মনে ভুতের ভয় ঢুকেছে। আতঙ্ক গোটা এলাকা জুড়েই। মালবাজার পরিমল মিত্র স্মৃতি কলেজের ওই ছাত্রী জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের কায়েতপাড়ার বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মোবাইলে মেসেজ আস, সেখানে ইংরেজিতে লেখা ছিল, ‘‘আমি মোমো।’’

পরদিন মেসেজটি দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি। এর মধ্যেই সোশ্যাল সাইট, সংবাদমাধ্যম থেকে এই মারণগেম সম্পর্কে জেনেছেন তিনি। ঘটনাটি পরিবারকে জানান। তরুণীর কথায়, ‘‘কোনও জরুরি ফোন এলেও ধরতে দিচ্ছে না মা, ঠাকুমা। চুপিচুপি ফোন নিয়ে আড়ালে গেলেই পিছন পিছন হাজির হচ্ছেন।’’

মুখেমুখে ‘মোমো-ভূত’-এর গল্প ছড়িয়েছে গোটা কায়েত পাড়াতেই। অভিভাবকেরা পড়ুয়াদের মোবাইল নজরে রাখছেন। ওই তরুণী এখনও থানায় অভিযোগ জানাননি। তবে নম্বরটি ব্লক করে দিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানার সাইবার সেলে এক কলেজ ছাত্রী প্রথম ‘মোমো’ অভিযোগ করে। তদন্তে নেমে পুলিশ এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে জানায়, মজা করতে একটি ভার্চুয়াল নাম্বার থেকে সে মেসেজ পাঠায় কয়েকজনকে। গ্রেফতার না হলেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। সিআইডি-র সাইবার সেলও তদন্ত চালাচ্ছে। আরও এক তরুণী কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানান। মালবাজার, মৌলানি, ধূপগুড়িতেও ‘মোমো’র মেসেজ পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘যাঁরা এ ধরনের মেসেজ পাচ্ছেন, তাঁরা থানায় অভিযোগ করুক। তদন্ত করতে সুবিধা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Momo Suicide Game Tension Horror
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE