Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

খুচরোর মোকাবিলা করছে শামুকতলার ব্যাঙ্ক

জমা পড়া সেই খুচরো গ্রাহকদের মধ্যে আবার দেওয়াও হচ্ছে। তবে যে পরিমাণে জমা পড়ছে সেই পরিমাণে খুচরো গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, খুচরো জমা দিচ্ছেন মূলত ব্যবসায়ীরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শামুকতলা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ১০:২০
Share: Save:

অতিরিক্ত খুচরোর চাপে রীতিমতো নাজেহাল ব্যবসায়ীরা। ব্যাঙ্কগুলো খুচরো জমা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। ঠিক সেই সময় খুচরো সমস্যা মেটাতে পথ দেখাচ্ছে ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত গ্রাম শামুকতলার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ছোট একটি শাখা। প্রতিদিন অন্তত চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার খুচরো জমা পড়ছে ওই শাখায়। এই ঘটনায় রীতিমতো খুশি শামুকতলার ব্যবসায়ীরা। এটা মূলত সম্ভব হয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের শামুকতলা শাখার ম্যানেজার অভ্রজ্যোতি ঘোষের উদ্যোগে।

জমা পড়া সেই খুচরো গ্রাহকদের মধ্যে আবার দেওয়াও হচ্ছে। তবে যে পরিমাণে জমা পড়ছে সেই পরিমাণে খুচরো গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, খুচরো জমা দিচ্ছেন মূলত ব্যবসায়ীরা। অন্য গ্রাহকরা যখন টাকা তুলতে আসছেন, তখন সবাইকে একশো থেকে দু’শো টাকা করে খুচরো দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে খুচরো জমা নিতে কোন সমস্যাই হচ্ছে না।

খুচরো গোনার অসুবিধা সহ নানা অজুহাত দেখিয়ে অন্য ব্যাঙ্ক যেখানে ঠিক মতো খুচরো জমা নিচ্ছে না সেখানে শামুকতলার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক কী ভাবে প্রতিদিন এত খুচরো জমা নিচ্ছে?

ম্যানেজার অভ্রজ্যোতিবাবু জানালেন, ব্যবসায়ীদের কাছে প্রচুর খুচরো জমে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা খুচরোর সমস্যার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমি তাঁদের জানাই এত খুচরো গুণে নেওয়া সম্ভব নয়। খুচরো জমা নিতে হবে ওজনে। কিন্তু ওজনের যন্ত্র আমাদের নেই। এরপর শামুকতলা ব্যবসায়ী সমিতি একটি সেই যন্ত্র কিনে দেয়। সেটিতে ওজন করে খুচরো জমা নিচ্ছি এবং গ্রাহকদের দিচ্ছি।’’ তার জন্য কয়েনের সাইজ অনুযায়ী প্যাকেট করে দিতে হচ্ছে। যেমন ১০০টি ছোট এক টাকার ওজন ৩৮০ গ্রাম, আবার বড় এক টাকা ১০০টির ওজন ৪৯০ গ্রাম আবার ২ টাকা, ৫ টাকার বিভিন্ন সাইজের প্রতি ১০০টির নির্দিস্ট ওজন রয়েছে। শামুকতলা ব্যবসায়ী সমিতি এবং গ্রাহকরা সাহায্য করছে বলেই এ ভাবে খুচরো জমা নেওয়া যাচ্ছে বলে অভ্রজ্যোতিবাবু জানান।

শামুকতলা ব্যবসায়ী সমিতির মানিক দে, কমল পাল, গৌরাঙ্গ দেবনাথরা জানান, ম্যানেজারবাবুকে খুচরোর সমস্যার কথা জানার পরে তিনি যে ভাবে সমস্যা মেটাতে এগিয়ে এলেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা বলেন, ‘‘ম্যানেজারবাবুর জন্যই আজ শামুকতলায় খুচরো সমস্যা নেই বললেই চলে। আমরা চাই অন্য ব্যাঙ্কগুলিও এই ব্যাঙ্কের দেখানো পথে হাঁটুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

শামুকতলা Samuktala
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE