পাঁচদিন কেটে গেলেও চিতাবাঘের হদিস মেলেনি। তাই ডুয়ার্সের মালবাজার ব্লকের বেতগুড়ি চা বাগানে আতঙ্কও একটুও কমেনি। সপ্তাহের গোড়াতেই বাগানের শ্রমিক শুকুরমণি ওঁরাওয়ের রক্তাক্ত খোবলানো দেহ উদ্ধার হয়। চিতাবাঘের হামলাতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে সন্দেহ।
বাগানের ২২ নম্বর সেকশনে, যেখানে শুকুরমনির দেহ মিলেছিল সেই এলাকাতেই খাঁচা পেতেও লাভ হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা দয়ানন্দ টোপ্পো বলেন “আমরা বুঝে উঠতে পারছি না মানুষখেকো বাঘ জলজ্যান্ত মানুষ ধরে খেয়ে নেবার পরেও কেন বনকর্মীরা তাঁর কোনই হদিশ পাচ্ছেন না।” এ দিকে মালবাজারের বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের গাড়ি প্রতিদিনই বাগানে টহল দিচ্ছে বলে পাল্টা দাবি বনদফতরের।
গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, “আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু চিতাবাঘের কোন হদিশ এখনও মেলে নি।” চিতাবাঘ আদৌ বেতগুড়ি চা বাগানে রয়েছে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু কাছেই অন্যান্য অনেক চা বাগান রয়েছে এবং গরুমারা জাতীয় উদ্যানও বেশি দূরে নেই তাই চিতাবাঘ সেখানেও চলে গিয়ে থাকতে পারে।’’ তবে বনকর্মীরা নিয়মিত টহল চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।
এ দিকে বনকর্মীরাই বাগানে রাতের দিকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করায় রথযাত্রার মজাও মাটি হতে বসেছে বাগানে। মালবাজার শহরের রথমেলাতে আসাটা সব বাগানের মতই বেতগুড়ি চা বাগানের শ্রমিকদেরও দীর্ঘদিনের রেওয়ায়জ কিন্তু এবার চিতাবাঘের আতঙ্ক সেখানেও থাবা বসিয়েছে। বাগানের চা শ্রমিক মঙ্গল ওঁরাও বলেন, “যতদিন চিতাবাঘকে ধরা পড়তে না দেখছি ততদিন আমরা শান্তিতে ঘুমোতে পর্যন্ত পারছি না তাই এবছর মালবাজারের রথের মেলাতেও যাওয়া হয় নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy