প্রতীকী ছবি।
একের পর এক শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন ঢুকছে। আর তার সঙ্গেই যেন পাল্লা দিয়েই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে কোচবিহারে। বুধবার ভোররাতেই কোচবিহার জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, জেলায় নতুন করে আরও ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩৪ জন।
তাঁদের মধ্যে ২৭ জন ইতিমধ্যেই আবার সুস্থ হয়ে মঙ্গলবার রাতেই জেলায় ফিরেছেন। রায়গঞ্জ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কোচবিহারের দু’জন বাসিন্দাও জেলায় ফেরেন। উদ্বেগের মধ্যেও যা স্বস্তি দিয়েছে কোচবিহার জেলা প্রশাসনকে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “আমরা সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে লড়াই করছি। সবাই যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।” কোচবিহারে আক্রান্তদের মধ্যে ১১৬ জনই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের একটা বড় অংশ মহারাষ্ট্র, দিল্লি থেকে জেলায় ফিরেছেন। ওই দুই রাজ্য থেকে ফেরত আসাদের মধ্যেই এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বাকি দু’জন বাংলাদেশের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে মুম্বই ফেরত ক্যানসার আক্রান্ত এক তরুণও ছিলেন। মুম্বই থেকে ফেরার সময়েই ওই তরুণের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে তাঁর লালারস পরীক্ষা হয়। তার বাইরে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। ওই তথ্য কিছুটা হলেও প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের স্বস্তি দিয়েছে।
তার পরেও কোনও ভাবে ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। এই জন্য রিপোর্ট পজ়িটিভ এলেই করোনা রোগীদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আক্রান্তের বাড়ি যে এলাকায় সেখানে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনও ভাবেই যাতে করোনা স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকেই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে যে ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১০ জন দিনহাটার বাসিন্দা, কোচবিহার সদর মহকুমার ৪ জন এবং তুফানগঞ্জের ২ জন বাসিন্দা রয়েছেন। ওই আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জন ফিরেছেন মহারাষ্ট্র থেকে, ৮ জন দিল্লি থেকে এবং ১ জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
এই পরিস্থিতিতে যাঁরা দিল্লি বা মহারাষ্ট্র থেকে ফিরছেন তাঁদের দ্রুত লালারস পরীক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন করে এ দিন আরও ১৮১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এই অবস্থার মধ্যেই কোচবিহার অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। কোচবিহার জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “এখন লকডাউনে অনেক ক্ষেত্রেই ছাড় রয়েছে। তবে কোথাও যাতে ভিড় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy