জেল থেকে অভিযুক্তদের আর আদালতে এনে কাঠগড়ায় তোলার দরকার হবে না। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া চলবে বলে জানান আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। শনিবার শিলিগুড়ি দীনবন্ধু মঞ্চে পিপি এবং জিপি’দের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত থেকে এ কথা জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ওই ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়া চলছে। জেল থেকেই অভিযুক্তদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার শুনানির কাজ করা যাবে।’’
অপরাধ বা দেওয়ানি মামলার অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার পক্ষ হয়। আইনমন্ত্রী জানান, আদালতে মামলার নিষ্পত্তি হতে সময় লাগে বলে বদনাম রয়েছে। তাতে মামলা করতে বাসিন্দারা উৎসাহ হারাচ্ছে। আইনজীবীদের প্রতি তাঁর বার্তা দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হলে তবেই মানুষ বেশি করে আদালতমুখী হবে। অন্যথায় পুলিশকে দিয়ে বা অন্য ভাবে মেটাতে সচেষ্ট হবেন তাঁরা। আবার আইনজীবীরা নানা কারণে কাজ বন্ধ রাখেন। তাতে বিচারপ্রার্থীরা বিপাকে পড়েন। রাজ্যে পকসো, এনবিপিএস আইনে মামলা বাড়ছে। এ গুলোর জন্য আলাদা কোর্ট, আলাদা পিপি প্যানেল তৈরির বিষয়টি ভাবা হচ্ছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
আইনজীবীদের সমস্যার বিষয়টিও তুলে ধরেন দফতরের মন্ত্রী। সরকারি আইজীবীদের পিএফ, গ্র্যাচুইটি নেই। সেগুলো নিয়েও ভাবনা চিন্তা চলছে। দফতর সূত্রে খবর আইনজীবী কল্যাণ তহবিল থেকে আগে ২৫-৩০ হাজার টাকা মিলত। তা বাড়িয়ে অন্তত ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং আলিপুরদুয়ারের সরকারি আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এ দিন উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, রাজ্যের ডিরেক্টরেট অব প্রসিকিউশন আশিস চক্রবর্তী। পর্যটনমন্ত্রী জানান, এক সময় ‘সাইবার ক্রাইম’, পকসো মামলার মতো বিষয়ে আদালতে সরকারি আইনজীবীরা জবাব দিতে পারতেন না। তাঁরা প্রস্তুত থাকতেন না। পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। এ দিন প্রশিক্ষণ কর্মশালা থেকেও এ ব্যাপারে আইনজীবীরা উপকৃত হবেন বলে দাবি করেন তিনি।
শিলিগুড়ি আদালত ভবন, মালখানার বেহাল পরিস্থিতি, মাথাভাঙা আদালতে সাক্ষীদের সঙ্গে বসে কথা বলার মতো জায়গার অভাব-সহ বিভিন্ন জেলা এবং মহকুমা আদালতে পরিকাঠামোর সমস্যা তুলে ধরেন আইনজীবীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy