শীতের রাত বলে কথা। হোক না চুরির কাজ, ঠান্ডা তো সবারই লাগতে পারে। চোরের দলেরও ঠান্ডা লেগেছিল।
তাই শীত তাড়াতে চুরি করতে এসে চা বানিয়ে খেল চোরের দল। শুধু তাই নয় লেপ, কম্বল, বালিশ গায়ে জড়িয়ে রাত কাটাল তারা। আর সব নিয়ে ভোররাতে চম্পট দিল চোরের দল। জলপাইগুড়ি শহরের বিবেকানন্দ পাড়ার ঘটনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
৪ জানুয়ারি বিবেকানন্দ পাড়ার বাসিন্দা ইলা সরকার কলকাতায় মেয়ের বাড়িতে যান। এখনও তিনি কলকাতায় রয়েছেন। রবিবার সকালে পাড়ার বাসিন্দারা দেখেন ইলাদেবীর বাড়ির দরজা ভেঙে রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটু এগিয়ে তাঁরা দেখতে পান ঘরের সব লন্ডভন্ড। কয়েকজন বিষয়টি ফোনে জানান ইলাদেবীকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন শহরের মুহুরিপাড়ার বাসিন্দা তাঁর আর এক মেয়ে ঝিমলি পাল।
পড়শিদের দাবি, ঘরে ঢুকে দেখা যায়, দু’টি দরজার লক ভেঙে রয়েছে। আলমারি, শো-কেস থেকে শুরু করে ঘরের সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। আলমারির তালাও ভাঙা ছিল বলে তাঁদের দাবি। রান্নাঘরে, ঘরের বিছানায় ব্যবহার করা চায়ের খালি কাপ পড়েছিল।
তা দেখেই বাসিন্দাদের অনুমান, চোরের দল রাতে চা করে খেয়েছে। বিছানাও ছিল লন্ডভন্ড।
ইলাদেবীর মেয়ে ঝিমলি পাল বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। ঘরের ভিতরে সব লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। আলমারি ভেঙে ফেলা হয়েছে। মা জলপাইগুড়িতে না থাকায় আর কী কী খোয়া গিয়েছে তা এখনও বুঝতে পারছি না। যারা চুরি করেছে তারা চা-ও খেয়েছে। লেপ কম্বল ব্যবহার করেছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’
ইলা সরকারের তিন মেয়ে। সকলেরই বিয়ে হয়ে গেছে। তাঁর স্বামী ছিলেন চা বাগানের ম্যানেজার। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি একাই থাকতেন ওই বাড়িতে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফাঁকা রেখে সম্প্রতি কলকাতায় এক মেয়ের বাড়ি রয়েছেন তিনি। এরই মাঝে চুরির ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ‘‘ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে"।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy