বিজ্ঞানী: পার্থসারথি চক্রবর্তী।
উত্তরবঙ্গের পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এ বার গবেষণা, কাজ করতে চান শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার প্রাপ্ত বিজ্ঞানী শিলিগুড়ির ছেলে পার্থসারথি চক্রবর্তী। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসেই গোয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওসোনোগ্রাফি থেকে ফিরছেন পশ্চিমবঙ্গে। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসার হিসাবে যোগ দিতে চলেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা আইআইটি খড়্গপুরে। রাজ্যে ফিরে তিনি পরবর্তীতে কাজ করতে চান উত্তরবঙ্গকে নিয়ে। আর সেখানে বাছাই করেছেন উত্তরবঙ্গের বাড়তে থাকা পরিবেশ দূষণ। জল থেকে বাতাস-বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের এ অঞ্চলের কী পরিস্থিতি, কোন দিকে যাচ্ছি আমার, নতুন নতুন কী কী জিনিস বিষাক্ত করে তুলছে মানুষের জীবন-এ সব নিয়েই আগামীতে কাজ করতে চান পার্থসারথি।
পার্থসারথিবাবুর কথায়, ‘‘আমার ক্ষেত্রে এ বার ঘরের ছেলে ঘরে ফেরার মতো। একাধিক দেশ, গোয়া, ভাইজাগ হয়ে এত দিনে রাজ্যে আসছি। খড়্গপুর আইআইটি থেকে চলতি মাসে সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করে। আগামী মাসেই রাজ্যে ফিরছি। তার পরে উত্তরবঙ্গ নিয়ে কাজ করতে হবে। পরিষেব দূষণ নিয়ে কাজ করব বলে ঠিক করেছি।’’
শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুল, শিলিগুড়ি কলেজ থেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে পার্থসারথি পৌঁছেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দীর্ঘ সময় থেকেছেন বিদেশে। মেরিন বা ওসন, এই পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের ধাতু এবং মেটালের বায়োলজিক্যাল পরিবর্তন পরিবেশ এবং অর্থনীতিতে পড়ে তা নিয়ে কাজ করেই ভাটনগর পুরস্কার পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেবেন পার্থ।
কাজ করার সময় বরাবর দূষণ বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে পার্থসারথিকে। দেশের মেরিন পলিউশন বুলেটিনের তিনি অ্যাসোসিয়েট এডিটরও নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পরিবেশ দূষণ নিয়ে আমরা নানা কথা বলি। কিন্তু আদতে গুরুত্ব কম দিই। বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, দূষণের প্রভাব কী মারাত্মক হতে পারে। সেখানে অনেক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গ নিয়ে কাজের ইচ্ছা মনে ছিল, এ বার সময় করে তা করব।’’
পার্থসারথির কথায়, ‘‘উত্তরবঙ্গের দূষণ নিয়ে একেবারেই প্রাথমিক স্তরের তথ্য পাওয়া যায়। বিস্তারিতভাবে কোনও কাজ হয়নি বললেই চলে। এটা খুব জরুরি। ঠিকঠাক করা গেলে তা সরকারি স্তরেও গ্রহণযোগ্যতা পেরে পারে। যা দিয়েই আগামীদিনের সতর্কতা জন্য কি দরকা তা সামনে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy