Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
North Bengal Medical College

রক্তের চিকিৎসা এবার উত্তরবঙ্গে

এই বিভাগ চালু হলে উত্তরবঙ্গে রক্তের জটিল অসুখগুলির চিকিৎসা সম্ভব হবে বলেই চিকিৎসরা মনে করছেন।

—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৬:৪৭
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে হেমাটোলজি এবং ইমিউনো হেমাটোলজি ও ব্লাড ট্রান্সমিশন বিভাগ। রাজ্যে চার জায়গায় এই বিভাগ চালু হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গে এটাই প্রথম। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে জংশন স্টেশন মোড়ে দলীয় উদ্যোগে এক রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়ে এ কথা জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এবার রক্ত সংক্রান্ত বিভাগও চালু করা হচ্ছে। এসএসকেএম, মানিকতলার সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক, এনআরএস এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল— এই চার জায়গায় রক্ত সংক্রান্ত অসুখের চিকিৎসার জন্য আলাদা বিভাগ খোলা হবে।’’

এই বিভাগ চালু হলে উত্তরবঙ্গে রক্তের জটিল অসুখগুলির চিকিৎসা সম্ভব হবে বলেই চিকিৎসরা মনে করছেন। লিউকেমিয়া, থ্যালাসেমিয়া বা রক্ত সম্পর্কিত জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে হলে এখন হয় কলকাতায় নয়তো রাজ্যের বাইরে যেতে হয়। সেই চিকিৎসার খরচও অনেক ক্ষেত্রে যথেষ্ট। সরকারি হাসপাতালে এই সব রোগের চিকিৎসা শুরু হলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে বলেই মনে করছে উত্তরের চিকিৎসক মহল।

এ দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে দেওয়া রক্ত সংগ্রহের অত্যাধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত বাসের উদ্বোধন করেন চন্দ্রিমা। এর একটি বাস উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালকে, আর একটি কোচবিহার মেডিক্যালকে দেওয়া হবে। রাজ্যে এমন ১০টি বাস দেওয়া হচ্ছে। বাসে তিন জন এক যোগে রক্ত দিতে পারবেন। রক্ত মজুত করা এবং কত রক্ত আছে তা দেখার ‘ডিসপ্লে বোর্ড’ রয়েছে।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আঞ্চলিক ব্লাড ব্যাঙ্কের অধিকর্তা মৃদুময় দাস বলেন, ‘‘দুটি আলাদা বিভাগ চালু করা হবে। একটি হেমাটোলজি, অন্যটি ইমিউনো হেমাটোলজি ও ব্লাড ট্রান্সমিশন বিভাগ। ওই বিভাগ চালু হলে এখানেই চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। পুরোদস্তুর তা চালু হতে সময় লাগবে। তবে প্রাথমিক প্রক্রিয়া তো শুরু হল।’’ ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালকে এক জন হেমাটোলজিস্ট দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি মেডিসিন বিভাগের অধীনেই কাজ করছেন।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, লকডাউনের সময় পুলিশ ১৭ হাজার ইউনিট রক্ত দিয়েছে। মেয়েরা ৩ হাজার ইউনিট দিয়েছে। কারও শরীরে রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ফেনটাইপ’ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে রাজ্যে। থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগীরা উপকৃত হবেন। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর ক্ষেত্রে শারীরের বৃদ্ধি ঠিকমতো

হয় না। অনেক সময় রক্ত নিতেগেলে তাঁর জ্বর, কাঁপুনি হয়। অনেক সময় একই গ্রুপের রক্ত হলেও অ্যান্টিবডি আলাদা হতে পারে। তাতে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এই কেমোটাইপিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একই অ্যান্টিবডি যুক্ত রক্ত দেওয়াও সম্ভব হবে। তাতে রোগীরা উপকৃত হবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

North Bengal Medical College Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE