Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

৪৯৮-এ নতুন স্বপ্ন ত্রয়ীর

উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৮ পাওয়া তাঁদের এক জন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, ইংরেজবাজারের নীলাব্জ দাস, এক জন রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের জয় মণ্ডল আর বালুরঘাট হাইস্কুলের সৌগত সরকার।

বাঁ দিএক থেকে - জয় মণ্ডল, প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৮, সৌগত সরকার,প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৮, নীলাব্জ দাস, প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৮

বাঁ দিএক থেকে - জয় মণ্ডল, প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৮, সৌগত সরকার,প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৮, নীলাব্জ দাস, প্রাপ্ত নম্বর: ৪৯৮

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৮
Share: Save:

উচ্চ মাধ্যমিকে এ বারের সর্বোচ্চ থেকে মাত্র ১ নম্বর পিছিয়ে তাঁরা। গৌড়বঙ্গের তিন জেলার সেই ত্রয়ী কিন্তু আরও অনেক এগোতে চান। তিন জনেই চান প্রতিষ্ঠিত হয়ে ফের নজর কাড়তে।

উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৮ পাওয়া তাঁদের এক জন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, ইংরেজবাজারের নীলাব্জ দাস, এক জন রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের জয় মণ্ডল আর বালুরঘাট হাইস্কুলের সৌগত সরকার।

মাধ্যমিকে ৬৮১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম হয়েছিলেন জয়। উচ্চ মাধ্যমিকে আরও ভাল করার জেদ চেপে যায়। রায়গঞ্জ করোনেশনের সেই ছাত্র এ বারের ফলে খুশি। রায়গঞ্জ শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হাইরোড কালীতলার বাসিন্দা জয়। তাঁর বাবা জ্যোতির্ময় স্পিনিং মিলের কর্মী ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে অবসর নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পেনশন চালু হয়নি। মা মায়া গৃহবধূ। দিদি অনন্যা স্নাতকোত্তর পড়ছেন। জয় জানিয়েছেন, ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করতেন না তিনি। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সাত জনের কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়তেন। জয়ের কথায়, ‘‘ভবিষ্যতে ডাক্তারি পড়তে চাই।’’

জ্যোতির্ময় বলেন, ‘‘আমার রোজগারেই সংসার চলে। ফেব্রুয়ারি মাসে অবসর নিয়েছি। এখনও পেনশন চালু হয়নি। মেয়ে প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে সংসার টানছে। ছেলেকে ডাক্তারি পড়াতে সবার সাহায্য প্রয়োজন।’’

লকডাউনে মা আটকে জলপাইগুড়িতে, দাদুর বাড়িতে। বাবার সঙ্গে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের মকদমপুরের বাড়িতে ছিলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র নীলাব্জ। শুক্রবার বিকেলে ফলাফল জানার পরে বাবার মোবাইল ফোন থেকে ভিডিয়ো কলে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ছেলের সাফল্যে খুশি স্কুলশিক্ষিকা পৌলমী দাস মিত্র। খুশি কলেজ শিক্ষক বাবা কল্যাণও। কর্মসূত্রে তাঁর বাবা-মা থাকেন শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলে প্রাথমিক স্তরে পড়াশোনা করেন নীলাব্জ। নরেন্দ্রপুরে ভর্তি হন পঞ্চম শ্রেণিতে। মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় না থাকলেও ভালই ফল করেছিলেন তিনি। ছাত্রাবাসে থেকেই পড়াশোনা করতেন। ইঞ্জিনিয়ার হতে চান নীলাব্জ। তিনি বলেন, এমন ফলাফল করব ভাবতে পারেনি।

বালুরঘাট হাইস্কুলের সৌগত এই সাফল্য তাঁর বাবা-মা ও শিক্ষকদের দিতে চান। বাবা সমীর সরকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। গৃহিনী মা নন্দিতা ছেলের সাফল্যে খুশি। সৌগতও ডাক্তার হতে চান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

wbchse result 2020 student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE