শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় আসা চল্লিশ হাজার দলীয় কর্মী সমর্থকের জন্য ডিম-ভাতের ব্যবস্থা হয়েছিল। পরে একই পথে ডিম ভাত খাওয়ানো হয় মালদহেও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোচবিহারেও ব্লক সম্মেলনে আসা মানুষদের ডিম-ভাত খাওয়ালো তৃণমূল।
রবিবার বাণেশ্বর চৌপথী সংলগ্ন মাঠে কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের কর্মী সম্মেলন হয়। সেখানে তিন হাজার জনকে ডিমের ঝোল দিয়ে পাত পেড়ে খাওয়ানো হল। সঙ্গে ছিল ডাল এবং আলু ও কুমড়োর তরকারি। দুপুরে ওই সন্মেলন হয়। তারপরেই শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “অনেক লোকের সমাবেশে সহজ খাওয়ার আয়োজন করতে হয়। এ ছাড়া গরিব দল আমরা। সামর্থ্য অনুযায়ী খাবারের আয়োজন করা হয়। তাই ডিম-ভাতই ভাল।”
কোচবিহার-২ নম্বর ব্লকে তুলনামূলক ভাবে বিরোধীদের সঙ্গে বরাবর কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। ওই ব্লকের বড় অংশ উত্তর বিধানসভার অংশ। সেই এলাকা বামেদের দখলে রয়েছে এখনও। এ ছাড়া পুণ্ডিবাড়ি, রাজারহাট ছাড়াও একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সংগঠন রয়েছে। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকায় জয় পেতে মরিয়া তৃণমূল। সে দিকে তাকিয়েই এ দিনের কর্মী সম্মেলন।
রবীন্দ্রনাথবাবুর পাশাপাশি বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, উদয়ন গুহ, আব্দুল জলিল আহমেদের মতো নেতারাও যোগ দিয়েছেন। মহিলা নেত্রীদের মধ্যে ছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়া, শুচিস্মিতা দেবশর্মা। নেতাদের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরেই খাওয়াদাওয়া শুরু হয়। ওই ব্লকের নেতৃত্ব জানান, সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মীরা এসেছেন। যোগ দেন মহিলা কর্মীরাও। সে জন্য তাঁরা খাবারের ব্যবস্থা করে রাখেন।
কোচবিহার ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, “নানা জায়গা থেকে কর্মীরা এসেছেন। দুপুরে অনুষ্ঠান ছিল। তাই খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। ডিম-ভাতের ব্যবস্থা করা হয়। সবাই খাবার খেয়েই ফিরেছেন।”
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “যেখানে তৃণমূলের সভা হচ্ছে সেখানেই ঢালাও খাওয়াদাওয়া হচ্ছে। এটা আমরা বহুদিন থেকেই দেখে আসছি। তবে ডিম-ভাত কেন, মাছ, মাংস খাওয়ালেও মানুষ এ বারে তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy