প্রতীকী ছবি
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে ডাকা বিজেপির মিছিলে রাজবংশী ও নমশূদ্রদের উপস্থিতি নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তৃণমূল নেতাদের কপালে। তাই পরিস্থিতি সামলাতে বিজেপির এই কৌশলকে ‘ধর্ম ও জাতি নিয়ে রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি নতুন বছরে পাল্টা মিছিলের ডাক দিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে কোচবিহার শহরে ‘অভিনন্দন যাত্রা’ মিছিল বের করে বিজেপি। সেই মিছিলে রাজবংশী ও নমশূদ্রদের পাশাপাশি উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে জেলা তৃণমূলে নেতাদের। তাঁরা মুখে সে-কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় নিজে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ। তিনি এ দিন বলেন, “আসলে ধর্ম ও জাতি নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। মিছিলে যারা হেঁটেছে তাঁদের অধিকাংশ মানুষই এখনও জানেন না, এনআরসি ও সিএএ কী। আগামী দিনে সবাই তা বুঝতে পারবেন।”
বিজেপির দাবি, এ দিন বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা শীতলখুচি, মেখলিগঞ্জ, দিনহাটা এবং অসম লাগোয়া বক্সিরহাট ও তুফানগঞ্জ থেকে প্রচুর মানুষ মিছিলে যোগ দেন। কোচবিহার লাগোয়া আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি থেকেও কিছু মানুষ যোগ দেন। বিজেপির দাবি, ৫০ হাজারের বেশি মানুষ মিছিলে যোগ দেন। তাদের আরও দাবি, রাজবংশী ও নমশূদ্র মানুষের সংখ্যাই বেশি ছিল মিছিলে। তবে পুলিশের হিসেব, ১০ হাজারের বেশি মানুষ ছিলেন।
মিছিলে ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, “ওই আইনে শরণার্থীদের নাগরিক করার কথা জানানো হয়েছে। কাউকে নাগরিকহীন করা হবে, এমন বলা হয়নি। ভুল কথা বলে আসলে বিভাজনের রাজনীতি করছে তৃণমূল।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, ‘‘রাজবংশী ও নমশূদ্র-সহ সব মানুষকেই ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে সমর্থন পাচ্ছে না। এ দিন টাকা দিয়ে কিছু মানুষ জেলা ও জেলার বাইরে থেকে নিয়ে এসেছে। তার পরেও একটি লোকসভা আসন জয়ের পর যা লোক হওয়ার কথা তা হয়নি।’’ তিনি জানান, ৭ জানুয়ারি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে মিছিল হবে তৃণমূলের। ওইদিন বিজেপির যা লোক হয়েছে, তার একশো গুণ বেশি মানুষ হাজির হবেন মিছিলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy