প্রতীকী ছবি।
আরএসএস-এর বহিরাগত লোকজন শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় ঢুকছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। শনিবার জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার অভিযোগ তোলেন, বহিরাগত ওই সমস্ত লোক বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঘাঁটি গেড়ে মানুষকে নানাভাবে ভুল বোঝাচ্ছে। এলাকার সুস্থ সাংস্কৃতিক বাতাবরণ নষ্ট করতে চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ রঞ্জনের। অনেকে তাতে গোলমালের আশঙ্কা করছেন বলেও দাবি। তৃণমূলের দাবি, তাদের তরফে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে পুলিশের কাছে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানানো হবে।
বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন বসুর দাবি, তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরছে বলে এখন নিজেদের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছে। নানা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দিভাষী বাইরের মানুষ দেখলেই তাঁকে বহিরাগত আরএসএস-এর লোক বলে চিহ্নিত করতে চাইছে তৃণমূল। তাঁদের নামে পুলিশে অভিযোগ করলে তাঁরা ফিরে গিয়ে যখন সেখানকার বাংলার মানুষদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তখন কী হবে সে কথা ভেবেছেন? আগে পিছে না ভেবেই মন্তব্য করছেন। নোংরা রাজনীতি করছেন।’’ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দেশের মধ্যে এক রাজ্যের লোক অনায়াসে অন্য রাজ্যে যেতে পারেন। বাংলার চার ভাগের একভাগ লোক বাইরের রাজ্যগুলোতেই থাকেন। সেটা তৃণমূল নেতাদের জানা দরকার। কাজে বা অন্য প্রয়োজনে এক রাজ্যের লোক আর এক রাজ্যে যেতেই পারেন। জেলা বিজেপির দাবি, তৃণমূলের জানা উচিৎ পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিই ভারতের সংস্কৃতি। অন্য রাজ্যের মানুষও বাংলার মনীষীদের ভালবাসেন। এই পরিবেশকে তৃণমূলই নষ্ট করতে চাইছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
এ দিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘কোনও অচেনা লোক এলাকায় ঢুকলেই তাঁদের দিকে বাসিন্দারা নজর রাখছেন। বাংলার বাইরে থেকে প্রচুর লোক ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেক মানুষ ঢুকেছেও। তাঁরা আরএসএস-এর লোক। মানুষকে ভুল বোঝাতে চেষ্টা করছেন। এলাকার সাংস্কৃতিক পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছেন। পুলিশকে তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানানো হবে।’’ বিজেপি নেতাদের জবাব, ক’দিন আগেই উত্তর দিনাজপুর জেলায় এক মহিলা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তা নিয়ে তৃণমূল আগে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলুক। বিজেপির দাবি, শিলিগুড়ি চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। সে ব্যাপারে তৃণমূল পুলিশকে কেন ব্যবস্থা নিতে বলছে না সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy