Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মঞ্চ ভাঙা, তার পাশেই সংবর্ধনা

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই ব্লকে ব্লকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে মৌসমকে। এ দিন হবিবপুর ব্লকের রাইস মিল এলাকায় মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল মৌসমের সংবর্ধনার জন্য।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হবিবপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৬
Share: Save:

সদ্য দলে যোগ দেওয়া উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম নুরকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বাঁধা হয়েছিল মঞ্চ। সেই মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তবে ভাঙা মঞ্চের পাশেই চৌকি পেতে মৌসমকে সংবর্ধনা দিল তৃণমূল। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর ব্লকে। এ দিনই সকালে হবিবপুর থানায় বিজেপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্লক নেতৃত্ব। অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ঘটনার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দুষেছে বিজেপি।

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই ব্লকে ব্লকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে মৌসমকে। এ দিন হবিবপুর ব্লকের রাইস মিল এলাকায় মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল মৌসমের সংবর্ধনার জন্য। সকালে দলীয় কর্মীরা দেখতে পান, মঞ্চ লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। মঞ্চের কাপড় ছেঁড়া রয়েছে। মঞ্চ ওঠার সিঁড়িও ভাঙা রয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। সকালেই ঘটনাস্থলে যান হবিবপুর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাস চৌধুরী। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৌসম বলেন, “বিজেপি দেশ জুড়েই হিংসার রাজনীতি করছে। হবিবপুরে সংবর্ধনা সভার জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মঞ্চ ভাল ছিল। তবে এ দিন সকালে দেখা যায় মঞ্চ ভাঙা। বিজেপি ভয় পেয়ে এমন কাজ করেছে।”

বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি দলের জেলা নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। তাই নিজেরাই মঞ্চ ভেঙে বিজেপির নামে দায় চাপিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করছে। আর হবিবপুর ব্লকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কথা রাজ্য নেতৃত্বও জানেন।” মৌসম বলেন, “এখানে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের বিষয নেই।” এদিকে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP Mausam Noor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE