Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
TMC leader arrested

দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে তৃণমূলের এক নেত্রী গ্রেফতার

পুলিশ বুধবার জানিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম ললিতা মণ্ডল। গাজলের বাসিন্দা ললিতা ওই ব্লকেরই তৃণমূলের মহিলা নেত্রী।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০৫:৫৪
Share: Save:

দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে তৃণমূলের স্থানীয় এক মহিলা নেত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে তাঁর সঙ্গী এক যুবকও। মঙ্গলবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের সিঙ্গাতলা এলাকার ঘটনা। বুধবার ধৃতদের মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।

পুলিশ বুধবার জানিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম ললিতা মণ্ডল। গাজলের বাসিন্দা ললিতা ওই ব্লকেরই তৃণমূলের মহিলা নেত্রী। ইংরেজবাজার থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সিঙ্গাতলা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ললিতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই বাড়ির মালিক সেখানে থাকতেন না। ললিতা একাই ওই বাড়িতে থাকতেন। অভিযোগ, বাড়িতে প্রায়ই অচেনা যুবক-যুবতীদের আনাগোনা ছিল। এ দিন সন্দেহ হওয়ায় ওই বাড়িতে হানা দেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, সেই সময় দুই তরুণী এবং এক যুবককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। ললিতা নিজেও বাড়িতে ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপরে ললিতা এবং এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল বলে দাবি পুলিশের। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “শহরের একটি ফাঁকা বাড়ি ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযান চালিয়ে এক মহিলা এবং যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

শাসক দলের মহিলা সংগঠনের নেত্রী গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। ঘটনায় একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনও উত্তর দেননি মহিলা সংগঠনের নেত্রী চৈতালী ঘোষ সরকার। গাজলের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের সুশীল রায় বলেন, “তাঁকে মহিলা সংগঠনের নেত্রী হিসেবে আমি জানি। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।”

এই ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, শহরে যত্রতত্র পার্লার গজিয়ে উঠেছে। অধিকাংশ পার্লারগুলিতে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। পুলিশের নজরদারি নেই। যার জন্য এমন ঘটনা ক্রমশই ঘটছে।

যদিও জেলার সর্বত্র অভিযান চালানো হয় বলে দাবি মালদহ পুলিশের। জানা গিয়েছে, ললিতা প্রথমে গাজলে একটি পার্লার চালাতেন। তবে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে আর পার্লারটি চালাতেন না তিনি। সম্প্রতি শহরে এই বাড়িতে থাকছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE