গাড়ি থেকে মৃতদের দেহ নামানো হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র
উত্তরপ্রদেশের কার্পেট কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন মালদহের এনায়েতপুরে ন’জন। তাঁদের মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। বুধবার জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে এই অভিযোগ জানান কংগ্রেসের দুই বিধায়ক, ইশা খান চৌধুরী ও মোত্তাকিম আলম। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল শিবির।
গত শনিবার মারা যান এই নয় শ্রমিক। তিন দিন পরে, মঙ্গলবার রাতে মৃতদেহগুলি উত্তরপ্রদেশ থেকে পৌঁছয় মালদহে। রাতে মর্গে ছিল দেহগুলি। তার পরে এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সেই দেহগুলি নিয়ে আসা হয়ে এনায়েতপুরে। সেখানে স্মরণসভাও হয়। সভামঞ্চে হাজির ছিলেন জেলা সভাধিপতি, জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারও। ছিলেন সাংসদ মৌসম নুরও। থাকার কথা ছিল রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার বাতিল হয়ে যাওয়ায় তিনি আসতে পারেননি।
কংগ্রেসের অভিযোগ, স্মরণসভার নামে পুরোটাই যেন তৃণমূলের অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়ায়। ন’জনের শেষযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। পরে সেই মিছিলে থাকা কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী বলেন, “রাতেই দেহগুলি গ্রামে নিয়ে গিয়ে মাটি দেওয়া যেত। শুভেন্দুবাবুর জন্য ১২ ঘণ্টা ধরে দেহগুলি রেখে দেওয়া হল। স্মরণসভার মাঠ জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দুবাবুর ফ্রেক্স। মৃতদেহগুলি রাজনীতি করছে তৃণমূল।”
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই অসহায় পরিবারগুলির পাশে রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে দেহ আসতে গভীর রাত হয়ে যায়। তাই দেহগুলি মর্গে রাখা হয়েছিল। কারণ মানিকচকের বহু মানুষ মৃতদের শেষ দেখার দাবি জানিয়েছিলেন। এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy