প্রতীকী চিত্র।
অবশেষে মারা গেলেন ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডার এলাকার তৃণমূল নেতা ভোম্বল ঘোষ (৩৪)।
১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে হুসলুরডাঙা বাজারে বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বিজেপির কর্মীরা তাঁর উপর সশস্ত্র হামলা চালায় বলে তৃণমূলের অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। তাঁর মৃত্যুর খবরে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। রবিবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারকে ওই নেতার দেহ দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, ১৪ ফেব্রুয়ারির রাতে ময়নাগুড়ির হুসলুরডাঙা বাজারে বিজেপির কর্মীরা ভোম্বলের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। মৃতের কাকা উত্তম ঘোষ বলেন, ‘‘ভাইপোর মোটরবাইক আটকে ওরা দশ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি জানায়। দিতে অস্বীকার করায় ভোম্বলকে হাঁসুয়া, লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করেন। ওঁর পকেট থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকাও ছিনতাই করে নেয় বিজেপির কর্মীরা।’’
এ দিন মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শিলিগুড়ির বেসরকারি নার্সিংহোমে যান ময়নাগুড়ির তৃণমূল নেতা মনোজ রায়-সহ অন্যেরা। মনোজ রায় বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। পুলিশের উপর ভরসা আছে।’’
কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ‘‘বিজেপির এই ধরনের নৃশংস হামলার ঘটনার মোকাবিলা রাজনৈতিক ভাবে করা হবে। এসপি-র সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবিও জানানো হয়েছে।’’ বিজেপি-র জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও কর্মী যুক্ত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ত্রিপুরা পুলিশের এক কর্মীও রয়েছেন। ওই কর্মীর বাড়ি চূড়াভান্ডারের মল্লিকহাটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy