ফালাকাটায় গৌতম দেব ও মোহন শর্মা। ছবি: নারায়ণ দে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সভার জায়গাতেই সভা করল তৃণমূল। দু’টি ক্ষেত্রেই দেখা গেল, তৃণমূলের আলাদা আলাদা শিবিরের নেতা বলে যাঁরা পরিচিত, তাঁরা এককাট্টা হয়েই বিজেপির বিরোধিতায় নামলেন। ময়নাগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার দিনেই এই দু’টি সভায় লোকের ভিড় দেখে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, ‘‘বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জনসভায় ৩-৪ হাজার মানুষ উপস্থিত হন। তার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ হেলিকপ্টার দেখতে এসেছেন। অন্য দিকে আমাদের আজকের জনসভায় ৩০-৪০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।’’ বিজেপির পাল্টা দাবি, মোদীর সভায় যাতে বেশি তাঁদের কর্মী সমর্থকেরা যেতে না পারেন, সে কারণেই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ দিনই জনসভার আয়োজন করে পথ আটকে দিয়েছে তৃণমূল। সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে লাভ নেই। বিজেপির সভায় যেতে চাননি মানুষই।’’ দলে কোনও বিভেদ নেই বলেও তৃণমূলের দাবি।
পারাডুবিতেই জনসভা করেছিলেন রাজনাথ। তাঁর সভার ঠিক কাছেই এদিন তৃণমূলের সভায় ছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, কোচবিহার লোকসভার সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণ, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, শীতলখুচির বিধায়ক হিতেন বর্মণ, মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান। বিনয়কৃষ্ণ দাবি করেন, বিজেপি গোটা জেলা থেকে যত লোক পারডুবিতে এনেছে তার থেকে কয়েকগুণ মানুষ শুধু মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এ দিন তৃণমূলের জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন।
ফালাকাটার মাদারিহাট রোডে রেলের জমিতে জনসভা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই মাঠেও পাল্টা সভার ডাক দেয় তৃণমূল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই মাঠের অনুমতি না মেলায় মাদারিহাট রোডেই আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর মাঠে জনসভা করে তৃণমূল। যে সভায় রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ছাড়াও তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। গৌতমবাবু বলেন, “এ ধরনের প্রধনমন্ত্রী দেশ কখনো দেখেনি। এই প্রধানমন্ত্রী দেশের কলঙ্ক।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই নানারকম কথা বলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy