প্রতীকী ছবি।
আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই উত্তরবঙ্গ সফরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এ দিন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কলকাতায় বৈঠক করলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনটি জেলাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। তাঁদের সকলকে দু’টি কথা স্পষ্ট করে দিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব— এক, কোনও পক্ষকে আমল না দিয়ে জেলার সব স্তরে নেতৃত্ব দেওয়া জন্য লোক বেছে নেওয়া হচ্ছে টিম পিকের তালিকা থেকে। দুই, আসন্ন বিধানসভা ভোটে দাদা ধরে টিকিট মিলবে না।
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী এবং প্রশান্ত কিশোর। সেখানে তিন জেলার নেতা-বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দলনেত্রী যাঁকে দায়িত্ব দেবেন, তাঁকে নিয়েই চলতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিরোধ করলে দল কঠোর অবস্থান নেবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তা নিয়ে অবশ্য তিন জেলার কোনও নেতাই মুখ খুলতে চাননি।
লোকসভা নির্বাচনে হারের পরে কোচবিহারে ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে দু’বার জেলা সভাপতি বদল হয়েছে। কিন্তু ব্লক বা জেলা কমিটি ঘোষণা হয়নি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কমিটিগুলিতে কাকে কোথায় রাখা হয়েছে, তা নিয়েই আলোচনা হয়। সেখানে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার প্রথম সারির প্রায় সব নেতা, মন্ত্রীই ছিলেন। এখানে যুযুধান সব পক্ষকেই সতর্ক করা হয়। দলের অন্দরের খবর, ব্লক সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নতুন মুখকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের বৈঠকে জেলা সভাপতি ছাড়াও চেয়ারম্যান দশরথ তিরকে, পাসাং লামা, প্রকাশ চিক বরাইক ছিলেন। তাঁদের সাংগঠনিক কাজে গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দলের যে সব কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন তাঁদের দলে সামিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে বেশ কিছু ক্ষেত্রে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়িতে ব্লক কমিটিতে রদবদল হয়েছে। জেলা কমিটিতেও সিলমোহর পড়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি, জেলার কোঅর্ডিনেটর, যুব সভাপতি বৈঠকে হয়েছে। এই জেলার ব্লক সভাপতিদের নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এ দিন ব্লক কমিটিগুলিও গঠন করা হয়েছে। এ দিন জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর পছন্দেই ক্রান্তি ব্লকের সভাপতি করা হয়েছিল মেহেবুব আলমকে। জেলা কমিটির তালিকা জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব আগেই পাঠিয়েছিলেন রাজ্যকে। সেই তালিকা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। দু’-একটি নামে রদবদলের পরে জেলা কমিটিকেও রাজ্য অনুমোদন দিয়েছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy