মন্ত্রী: শিলিগুড়ির লালমোহন মৌলিক ঘাটে ছটপুজোর উদ্বোধনে গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র
ছটপুজোর ঘাটে ঘাটে তৃণমূলের নেতারা! তা সে শিলিগুড়ির মহানন্দাই হোক বা জলপাইগুড়ির করলা। কোথাও দেখা গেল মন্ত্রী গৌতম দেবকে তো কোথাও অন্য নেতাদের। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী গুজরাতে মার খাওয়া বিহারিদের প্রতিও বার্তা দিয়েছিলেন দরজা খুলে রাখার। এ বারে সেই সম্প্রদায়ের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতেই তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের এই উদ্যোগ, মনে করছেন অনেকেই।
শিলিগুড়িতে দুপুর থেকে ছ’টি ছটঘাটের উদ্বোধন করেন জেলা গৌতম দেব। সমরনগর থেকে ভোলামোড়, নৌকাঘাট, জলপাইমোড় থেকে লালমোহন মৌলিক ঘাট-সর্বত্র ঘুরে বেড়ালেন তিনি। যদিও তিনি নিজে বলছেন, এতে কোনও রাজনীতি নেই। তাঁর কথায়, ‘‘সমস্ত ধরনের পুজো, পার্বণে আমরা শহরবাসীর সঙ্গে আনন্দে সামিল হই। এতে রাজনীতির কি আছে!’’
জলপাইগুড়িতে আবার নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এতটাই যে, একই পুজোর উদ্বোধন করলেন দু’জন। দুপুরে শহরের কিংগসাহেবের ঘাটে একটি ছটপুজোর উদ্বোধন করেন জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায়। পুরসভার হয়ে ওই ঘাট সংস্কারের দায়িত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান পরিষদের আর এক সদস্য তথা তৃণমূল নেতা সন্দীপ মাহাতো। সৈকতবাবু যখন ফিতে কাঁটছেন, তখন সন্দীপবাবুকে দূরে সরে থাকতেই দেখলেন পুণ্যার্থীরা। সৈকতবাবুর উদ্বোধনের ঘণ্টাখানেকের পর থেকে একে একে কিংগসাহেবের ছটঘাটে এলেন পুরসভার চেযারম্যান মোহন বসু, জলপাইগুড়ির তৃণমূল সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মণেরা।
আরও পড়ুন: আসছেন শুভেন্দু, ভোট টানতে ভরসা জগদ্ধাত্রী
এ দিন যে ছটপুজোর উদ্বোধন হবে এবং তা সৈকতবাবু করবেন, সেটা পুরসভা বা দলের নেতাদের কাছে আগাম খবর ছিল না। অন্য নেতা কিছু বলতেও চাননি। সৈকতবাবু বলেন, “শহরের হিন্দিভাষী মানুষের কাছে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা সর্বাধিক। ওঁরা আমাকে ডেকেছিলেন তাই এসেছি।’’
সন্ধ্যায় একই পুজোর ঘাটের আবার উদ্বোধন করেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকেও। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে মাছ ব্যবসায়ীরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাই এসেছি। এটা বেসরকারি উদ্যোগের ছটঘাট। এখানে সৈকত এসেছিল বলে জানা নেই।’’
আরও পড়ুন: ছুটি নিয়েই বিভ্রান্তি, ছটে খোলা বহু স্কুল
গত মাসে চালসার টিয়াবনে এসে প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছটঘাটগুলিতে সব রকম পরিকাঠামো ঠিক রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রশাসন-পুরসভার সঙ্গে পুলিশকেও ঘাটে সব কিছু ঠিকঠাক আছে কি না, দেখার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও অবাঙালি সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। লোকসভা ভোটের আগে অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক যাতে বিজেপির দিকে চলে না যায়, তার ব্যবস্থা করতেই তৃণমূল নেত্রী পদক্ষেপ করছেন বলে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চাও শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy