—প্রতীকী ছবি।
জমি নিয়ে গোলমালের জেরে মামলা চলছে। কিন্তু শুনানির মধ্যেই নতুন করে গোলমালের জেরে পুলিশের সামনেই বিপক্ষের এক মহিলাকে থানা চত্বরে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনজেপি থানা চত্বরের ঘটনা। আক্রান্ত সাধনা হালদার ঘটনার পরেই থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নেতার স্ত্রী রোহিনা খাতুন। পুরো ঘটনার পরিপ্রেক্ষইতে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব জানান, আইন আইনের পথেই চলবে।
তৃণমূলের ফুলবাড়ি-১ নম্বর প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ আহিদের স্ত্রী রোহিনার সঙ্গে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার সাত বিঘা জমি নিয়ে পরিবারের ঝামেলা চলছিল উত্তরকন্যার পাশে শ্রীনগর কলোনিতে। জলপাইগুড়ি আদালতে তা নিয়ে একটি মামলা চলছে। বৃহস্পতিবার তার শুনানিও রয়েছে। অভিযোগ, সোমবার রাতে রোহিনা এবং তার পরিবারের কয়েক জন সদস্য গিয়ে সাধনাদের বাড়ির তালা ভেঙে কিছু জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে নতুন করে তালা লাগিয়ে দেয়। তার প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাধনা এবং তাঁর পরিবার। তা নিয়েই থানায় এ দিন দু’পক্ষকে ডাকা হয়েছিল। সেখানেই বাদানুবাদ শুরু হয় রোহিনার সঙ্গে সাধনা এবং তাঁর প্রতিবেশীদের। তখনই রোহিনা জুতো দিয়ে সাধনা এবং কয়েক জনকে মারেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে রোহিনার ঝামেলা শুরু হয় থানা চত্বরেই।
স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা দীর্ঘদিন থেকেই এলাকায় রয়েছেন। শুনানি চলছে। এর মধ্যে রোহিনারাই গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করছিলেন বলে তাঁদের দাবি। তা নিয়েই থানায় নতুন করে ঝামেলা বাধে।
সাধনার কথায়, ‘‘পুলিশের সামনেই পায়ের জুতো খুলে আমাকে পেটাল রোহিনা। এর প্রতিবাদ চাই।’’ ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীনগর কলোনি থেকে আরও প্রতিবেশী থানা চত্বরে জমা হলে বিক্ষোভ শুরু হয়। থানায় পুলিশকর্মীদের নিরাপত্তা বলয়ে চলে যেতে বাধ্য হন রোহিনা এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা। অভিযোগ প্রসঙ্গে রোহিনা বলেন, ‘‘থানায় এসে ওঁরাই ঝামেলা পাকাচ্ছিলেন। সেই সময় আমাকেই পিছন থেকে তাঁরা ধাক্কাধাক্কি করে। আমি কাউকে জুতো দিয়ে পেটাইনি।’’
এলাকার তৃণমূল নেতা মহম্মদ আহিদ ওরফে চুটকির দাবি, তিনি জমির ঝামেলার মধ্যে যাননি। তাঁর দাবি, স্ত্রী কাউকেই জুতো দিয়ে মারেননি। ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রঙ দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আইনশৃঙ্খলাজনিত। এর মধ্যে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। আইন আইনের পথেই চলবে।’’ কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা জানান, ঘটনার খবর পেয়েছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy