Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সম্প্রীতি রক্ষার মিছিলের মুখ পার্থ, নেই রবি

শুধু তৃণমূল নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে এ দিন রাস্তায় নেমেছে সিপিএম। সিপিএম এ দিন বিকেলে মড়াপোড়া চৌপথীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

পথে: তৃণমূল যুবর উদ্যোগে ‘সংহতি দিবস’ উদযাপনের মিছিলে কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। নিজস্ব চিত্র

পথে: তৃণমূল যুবর উদ্যোগে ‘সংহতি দিবস’ উদযাপনের মিছিলে কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৬
Share: Save:

সম্প্রীতির ডাক দিয়ে ৬ ডিসেম্বর প্রতি বছরই সংহতি দিবস পালন করে তৃণমূল। এ বারে যুব তৃণমূলের ডাকে বৃহস্পতিবার কোচবিহারে সেই সংহতি দিবসের মিছিলই হয়ে উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের জায়গা। শুক্রবার কোচবিহারের ঝিনাইডাঙা থেকে বিজেপির রথযাত্রা সূচনা করার কথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। আদালতের রায়ে সেই সভা আপাতত স্থগিত।

তার একদিন আগে সংহতি দিবসের নামে মিছিল করার সুযোগ পেয়ে শক্তি প্রদর্শনে নামে যুব তৃণমূল। যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের নেতৃত্বে ওই মিছিল বের হয়। অবশ্য ওই মিছিলে হাজির ছিলেন না তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাতে তৃণমূলের মধ্যে বিরোধের ছবি স্পষ্ট হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।

তৃণমূলের যুব সভাপতি পার্থবাবু বলেন, “দলের নির্দেশেই সংহতি দিবসের মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবুরও থাকার কথা ছিল। তিনি অন্য কর্মসূচি থাকায় সেখানে গিয়েছেন। কোনও বিরোধ নেই। সবাই মিলেই আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি।” রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, তিনি ওই মিছিলের কথা জানেন। তিনি এ দিন পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে অসমে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “তৃণমূলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। দ্বন্দ্ব রয়েছে বিজেপির মধ্যে। তাঁদের মধ্যে একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি থাকবে।”

শুধু তৃণমূল নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে এ দিন রাস্তায় নেমেছে সিপিএম। সিপিএম এ দিন বিকেলে মড়াপোড়া চৌপথীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “বিজেপি সারা দেশে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। তৃণমূলও তাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন।”

আজ, শুক্রবার সকালে জানা যাবে বিজেপির রথযাত্রার ভবিষ্যৎ। এই অবস্থায়, দুই দল পৃথক পৃথক ভাবে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোরও।

এ দিন দিলীপবাবু প্রয়োজনে দলের কর্মী-সমর্থকদের লাঠি হাতে সভার পথে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সন্ধের পরে অসম থেকে ফিরে পাল্টা তোপ দাগেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন, “লাঠি হাতে কেউ আমাদের দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।” তিনি সে জন্য দলীয় কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Unity Rally Cooch Behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE