জখম: হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ভুট্টু। নিজস্ব চিত্র
ঘুমের ঘোরে মধ্যরাতে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। শনিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের মতিলাল গ্রামের ঘটনা। রিয়াজ আলম ওরফে ভুট্টু নামে মতিলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই সদস্যকে রাতেই গুরুতর অবস্থায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর বাঁ পায়ে গুলি লেগেছে। এই ঘটনায় এলাকার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রের খবর, ভুট্টু রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ঘরে তাঁর এক ভাইও শুয়েছিলেন। ঘরের একটা জানলা খোলা ছিল। দুষ্কৃতীরা রাস্তা থেকে জানলা দিয়ে ভুট্টুকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তবে গুলি পায়ে লেগে বেরিয়ে যায়। গুলির শব্দে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে পড়ায় দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের বেডে শুয়ে এ দিন ভুট্টু জানালেন, অল্পের প্রাণ রক্ষা হয়েছে তাঁর। তিনি জানালেন, তখন মাঝরাত। আচমকা একটা শব্দ, সঙ্গে সঙ্গে বাঁ পায়ে অসহ্য ব্যথা। দেখি পায়ে রক্ত ঝরছে। গুলির শব্দে ভাই চিৎকার করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা তাঁকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যেই এসেছিল বলে ভুট্টু জানান।
কিন্তু তাঁকে কেন প্রাণে মারতে যাবে দুষ্কৃতীরা? ভুট্টুর কথায়, ‘‘কারও সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই আমার।’’ তবে তাঁর অভিযোগ, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কলিমুদ্দিন (২২) নামে তাঁর খুড়তুতো ভাইকে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর বিপক্ষের প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দল প্রার্থীর লোকজন ভোটের লাইনে তাঁর খুড়তুতো ভাইকে গুলি করে। গুরুতর জখম অবস্থায় টানা তিনমাস চিকিৎসার পর তিনি মারা যান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্তেরা শাসক দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কিন্ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করছিল। যদিও পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ওই ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ। তাঁদের আরও অভিযোগ, পুলিশ তদন্ত করলে সবটাই স্পষ্ট হবে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
তৃণমূলের একটা অংশের অভিযোগ, এই ঘটনায় তৃণমূলের একাংশের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া রয়েছে। যদিও গোয়ালপোখর ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম রসুল বলেন, ‘‘এর সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই।’’ ইসলামপুর জেলা পুলিশ সুপার সচিন মক্কার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy