প্রতীকী চিত্র
গণবিবাহ ঘিরে এ মাসের প্রথমে পুরাতন মালদহের আটমাইলে গোলমাল বেঁধেছিল। গণবিবাহের আড়ালে আদিবাসীদের ধর্মান্তরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম প্রসার বিভাগের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছিল ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি-সহ একাধিক আদিবাসী সংগঠন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই ধর্ম প্রসার বিভাগ।
এ বার গণবিবাহ আসরের সেই মাঠেই মার্চের প্রথম সপ্তাহে দলের আদিবাসী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কনভেনশন করবে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, ওই কনভেনশন সফল করতে দলের আদিবাসী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে জেলা দলীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যে দু’দফায় বৈঠক করেছেন। জেলার আদিবাসী প্রভাবিত ব্লকগুলিতে আজ সোমবার থেকে সেই কনভেনশনের বিষয়ে প্রচার শুরু করবেন জেলার সংশ্লিষ্ট ব্লকের দলীয় এবং আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই কনভেনশনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপস্থিত থাকবেন আদিবাসী নেতা-মন্ত্রীরা। আদিবাসী ভাষাতেই বক্তব্য রাখা হবে। তা ছাড়া দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও সেখানে ডাকা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, গণবিবাহকে কেন্দ্র করে গোলমালের ঘটনাকে সামনে রেখে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তথা বকলমে বিজেপিকে কোণঠাসা করতেই তৃণমূলের এই উদ্যোগ।
মালদহ জেলায় আদিবাসী প্রভাবিত ব্লকগুলি হল গাজল, পুরাতন মালদহ, হবিবপুর ও বামনগোলা। এ ছাড়া চাঁচল ২, ইংরেজবাজার এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকেও বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারের বসবাস। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলার এই আদিবাসী প্রভাবিত এলাকায় ভাল ফল করে বিজেপি। শুধু তাই নয়, গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার আদিবাসী মানুষেরা বিজেপির পাশে ছিলেন।
পালে হাওয়া টানতে, লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে আদিবাসী প্রধান এলাকাগুলিতে নানা কর্মসূচি নেয় তৃণমূল। দলের আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্বেও রদবদল করা হয়। দলের আদিবাসী সংগঠন সংশ্লিষ্ট ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে আদিবাসীদের উন্নয়নের রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে সামনে রেখে প্রচার শুরু করে। সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে ৬০ বছরের বেশি আদিবাসী বাসিন্দাদের জন্য ‘জয় জহার’ নামে বার্ধক্য ভাতা চালুর কথা ঘোষণা করা হয়। এই প্রকল্পকে সামনে রেখেও তৃণমূল আদিবাসী প্রভাবিত গ্রামগুলিতে প্রচার শুরু করেছে। এ বারে দলের আদিবাসী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে একটি বড় কনভেনশন করতে চাইছে তৃণমূল।
দলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার যখন আদিবাসীদের উন্নয়নে একাধিক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে, তখন তাঁদের ভুল বুঝিয়ে কিছু মানুষ ও সংগঠন অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। শান্তি বজায় রাখতে দলের আদিবাসী নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের এই পরিস্থিতিতে কী কর্তব্য রয়েছে তা নিয়ে আলোচনার জন্য ওই কনভেনশন করা হবে।’’
এ নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম প্রসার বিভাগের জেলা সভাপতি তপনকুমার দাস বলেন, ‘‘আদিবাসী মানুষেরা স্বেচ্ছায় ওই গণবিবাহে শামিল হয়েছিলেন। এখন সংগঠনের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ
তোলা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy