Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কোচবিহারে ‘দ্বন্দ্ব’ ব্রিগেড প্রস্তুতি নিয়ে

রবীন্দ্রনাথবাবু নিজেও কোনও দ্বন্দ্বের বিষয় মানতে চাননি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৪৩
Share: Save:

ব্রিগেড সমাবেশ নিয়েও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে কোচবিহারে।

দলের অনেক কর্মীই কলকাতা যাওয়ার জন্য ‘ব্যাজ’ পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ তুলেছে দলে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। দলীয় সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও ওই নেতৃত্বের কেউই বিষয়টি মানতে নারাজ। এমনকি রবীন্দ্রনাথবাবু নিজেও কোনও দ্বন্দ্বের বিষয় মানতে চাননি। তিনি জানান, নিউ কোচবিহারে দলের তরফে ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রত্যেক কর্মী যাতে সঠিক ভাবে ট্রেনে চেপে কলকাতা যেতে পারেন তা দেখভাল করা হচ্ছে। সেখানেই ‘ব্যাজ’ রয়েছে। তিনি বলেন, “বহু মানুষ কোচবিহারে থেকে ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডে যাচ্ছেন।”

কোচবিহারে মূল ও যুব তৃণমূলের মধ্যে বিবাদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, একদিকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে রয়েছেন আব্দুল জলিল আহমেদ। এই জুটির সঙ্গে বিরোধ যুব সভাপতি পার্থবাবু, বিধায়ক মিহির গোস্বামীদের। গত বছরও ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে দুই পক্ষের লড়াই প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি কর্মীদের। নিউ কোচবিহারে মূল তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই আলাদা ক্যাম্প তৈরি করে সেখানে ‘ব্যাজ’ রেখেছিল যুব তৃণমূল। এ বারে গত ৮ জানুয়ারি কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে সভা করে কার্যত যুব তৃণমূলকে সংযত হওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল তৃণমূলকে মান্যতা দিয়ে যুব সংগঠন করতে হবে বলেও তিনি জানান। এর পরে এ বারে আর নিউ কোচবিহারে দ্বিতীয় ক্যাম্প তৈরি করেনি যুব তৃণমূল। এমনকি যুব নেতাদেরও তেমন ভাবে নিউ কোচবিহারে দেখা যাচ্ছে না বলেও জানাচ্ছেন দলের কর্মীরা।

তবে যুব সংগঠনেরই একটি অংশ অভিযোগ তুলেছেন, ট্রেনে যাতায়াত করার সময় ব্যাজ প্রয়োজন হয়। সেটাই একজন তৃণমূল কর্মীর পরিচয়। অথচ নিউ কোচবিহারে অনেকেই সেই ‘ব্যাজ’ পাচ্ছেন না। যদিও রবীন্দ্রনাথ অনুগামীদের দাবি, যারা ওই সভায় যোগ দিতে যাচ্ছেন তারা প্রত্যেকেই ব্যাজ নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ যদি ক্যাম্পে গিয়ে ব্যাজ না নেন সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু, ‘ব্যাজ’ দেওয়া হচ্ছে না এমন একটিও উদাহরণ কেউ দেখাতে পারবেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, “এমনটা যারা বলছেন তাঁদের অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে।”

পার্থবাবু অবশ্য বলেন, “এমন কোনও বিষয় নেই। দলের তরফে নিউ কোচবিহারে ক্যাম্প অফিস হয়েছে। কোনও অসুবিধে নেই কারও।” উদয়নবাবু বলেন, “এমন কোনও অভিযোগের ব্যাপারে আমার জানা নেই। কর্মীরা ব্রিগেডে আসতে শুরু করেছেন। কারও কোনও অসুবিধে নেই।”

দলের কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “দলের কোচবিহার জেলার সভাপতি সুন্দর ভাবে সব ব্যবস্থা করছেন। কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। নেত্রীর ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাচ্ছেন ব্রিগেডে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar TMC Brigade
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE