প্রতীকী ছবি।
ইমামদের পরে পুরোহিতদের ‘খুশি’ করতে ভাতা চালু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তার পরও পুরোহিতদের সম্পূর্ণ ভাবে নিজেদের দলে টানতে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি তৃণমূলে। ভোটের আগে যাতে সমস্ত পুরোহিতদের দলের ছাতার তলায় নিয়ে আসা যায় সেই লক্ষ্যে পুরোহিতদের নিয়ে বৈঠক করতে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ পেয়েই পুরোহিতদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে নামতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল নেতৃত্ব।
দাবি মেনে গত বছর থেকে পুরোহিত ভাতা চালু করে রাজ্য সরকার। এমন কি, গত দুর্গাপুজোর আগে এক কিস্তি ভাতাও দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভাতা দিলেও পুরোহিতদের দিকে তেমন নজর দেওয়া হয়নি বলে খবর।
কারণ, জেলাগুলিতে কত পুরোহিত রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান তৃণমূলের কাছে নেই। কিন্তু আসন্ন ভোটে ইমামদের পাশাপাশি পুরোহিতদের ভোটও ‘ফ্যাক্টর’ হতে চলেছে, তা বিলক্ষণ বুঝেছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই অভিষেক গত বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুরে জনসভা শেষে দলের জেলা নেতাদের পুরোহিতদের নিয়ে সংগঠন তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর।
বিজেপির হিন্দুত্ববাদের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ইমাম ভাতা। সেখানে পুরোহিতদের ভাতা দেওয়া সেই প্রচারকে অনেকটাই ঠেকাতে পারবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এই প্রকল্পের ‘ডিভিডেন্ড’ তুলতে হলে পুরোহিতদের নিয়ে বেশি-বেশি মিটিং, মিছিল করা প্রয়োজন। তাই অভিষেকের নির্দেশের পরেই পুরোহিতদের নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে জেলা নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলার প্রায় ১৩০০ পুরোহিত ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। তারমধ্যে মাত্র ১৫৩ জনকে পুজোর সময় ভাতা দেওয়া গিয়েছে। এবং আরও এক হাজার পুরোহিতের ভাতা দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এই এক হাজার পুরোহিত খুব শীঘ্রই ভাতা পাবে বলে খবর।
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রতুল মৈত্র বলেন, ‘‘পুরোহিতদের নিয়ে আমরা খুব শীঘ্রই বৈঠকে বসব। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সংগঠন তৈরি করা যায় কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ জেলার এক প্রবীণ পুরোহিত নরেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সেই অর্থে আমাদের কোনও সংগঠন এখনও গড়ে ওঠেনি। তাই অনেকেই এই প্রকল্প সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। সরকারি মহলেও প্রচার কম। তাই অনেক পুরোহিত ভাতা পাচ্ছেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy