Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জিএস-কে সাসপেন্ড

পরিচালন কমিটির বৈঠকে ডাক না পেয়ে দলীয় সাংসদকে হেনস্থা করায় আনন্দচন্দ্র কলেজের জিএসকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করল টিএমসিপি৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৯
Share: Save:

পরিচালন কমিটির বৈঠকে ডাক না পেয়ে দলীয় সাংসদকে হেনস্থা করায় আনন্দচন্দ্র কলেজের জিএসকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করল টিএমসিপি৷

দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই জিএসের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিএমসিপি-র জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিংহ৷ তবে সংগঠনের এই ঘোষণার পরও নিজের দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন ‘সাসপেন্ড’ জিএস৷ গত বুধবার জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজের পরিচালন কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু গত ৩১ ডিসেম্বর কলেজের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় জিএস দেবজিৎ সরকারকে সেই বৈঠকে ডাকেননি বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু দেবজিতের অভিযোগ, ৭৫ বছর পূর্তিতে পড়ুয়াদের জন্য কেনা টি-শার্টের বেঁচে যাওয়া অর্থ আত্মস্মাৎ করতেই পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মনের নির্দেশে তাঁকে বৈঠকে ডাকেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ৷

এর প্রতিবাদে ওই দিন সকাল থেকেই দেবজিতের নেতৃত্বে কলেজে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে টিএমসিপি৷ দলীয় সাংসদের নামে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়৷ দুপুর দু’টো নাগাদ সাংসদ বিজয়বাবু কলেজে ঢুকলে তাঁকে বারান্দায় দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে টিএমসিপি৷

সূত্রের খবর, খোদ দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের হাতেই তৃণমূল সাংসদের এ ভাবে হেনস্থা হওয়ার ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে হইচই শুরু হয়৷ জেলা নেতাদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে দলের জলপাইগুড়ির পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন৷ এমনকী দেবজিৎ দলের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কোনও কোনও নেতা বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও তোলেন৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, সাংসদ বিজয়বাবুর সঙ্গে কথা বলে অরূপবাবু তাঁকে গোটা ঘটনা লিখিতভাবে জানাতে বলেন৷ পাশাপাশি ছাত্র-যুব নেতাদেরকে এ ধরনের ঘটনা সব সময় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে সৈকতকেও জানিয়ে দেন অরূপবাবু৷ এরপর সৈকত বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা আমরা কখনই সমর্থন করি না৷ এটা দলের কাছে অভিপ্রেত নয়৷’’

এরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিএমসিপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিংহ জানান, জেলায় দলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে দেবজিৎকে ছয় বছরের জন্য সংগঠন থেকে সাসপেন্ড করা হল৷ যার উত্তরে দেবজিৎ জানায়, ‘‘আমার কাছে এ ব্যাপারে কোনও চিঠি আসেনি৷ চিঠি এলে যা বলার বলব৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায্য দাবি নিয়েই আমার আন্দোলন করেছিলাম৷ সাংসদকে হেনস্থা করিনি৷ টি-শার্টের বেঁচে যাওয়া অর্থ ফেরানোর দাবিতে আমরা এখনও অনড় রয়েছি৷’’ সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন৷ তিনি বলেন, ‘‘কড়া পদক্ষেপ নেওয়া টিএমসিপির জেলা সভাপতিকে ধন্যবাদ৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE