প্রতীকী ছবি।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রশমিত করতে একই পদের জন্য যুযুধান দুই সদস্যকে পর্যায়ক্রমে আড়াই বছর করে প্রধানের পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নিল উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল। শুক্রবার রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি ১ পঞ্চায়েতের ঘটনা। দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ টিএমসিপির জেলা সভাপতি অজয় সরকারকে প্রধান পদে বসানোর দাবি তুলেছিলেন। পঞ্চায়েত সদস্যদের অপর একটি অংশ সেই দাবির বিরোধিতা করে অভিজ্ঞতার যুক্তি দিয়ে পর পর তিন বারের পঞ্চায়েত সদস্য দলীয় নেতা প্রশান্ত দাসকে প্রধান পদে বসানোর দাবিতে অনড় ছিলেন। তাই দু’জনকেই আড়াই বছর করে প্রধান পদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য।
প্রধান নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল সদস্যদের দুই গোষ্ঠীর গোলমালের আশঙ্কায় এ দিন ওই পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিকিতা ফোনিং, রায়গঞ্জের ডিএসপি (ডিআইবি) প্রসাদ প্রধান ও রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিরোধীরা প্রধান ও উপপ্রধান পদে প্রার্থী না দেওয়ায় অমলবাবুর নির্দেশ মেনে তৃণমূলে পঞ্চায়েত সদস্যরা প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভোটাভুটিতে যাননি। ফলে গোলমালের শঙ্কা থাকলেও তা হয়নি।
অমলবাবুর দাবি, ‘‘অজয় দলের দুর্দিন থেকে জেলায় টিএমসিপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই তাঁকে পঞ্চায়েতের প্রধান করার দাবি ওঠাটা অযৌক্তিক কিছু নয়। অন্য দিকে, প্রশান্ত দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রবীণ পঞ্চায়েত সদস্য তথা দলের নেতা। দল চায় না প্রধান পদে বসা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা বিরোধে জড়ান। সেই কারণে, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম আড়াই বছর প্রশান্ত প্রধানের দায়িত্ব সামলানোর পরে পদত্যাগ করবেন। পরের আড়াই বছর অজয়কে প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’ অজয় ও প্রশান্তের দাবি, তাঁরা দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন।
ওই পঞ্চায়েতে মোট ২০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫টি আসন দখল করে তৃণমূল। বিজেপি তিনটি, সমাজবাদী পার্টি ও নির্দল একটি করে আসন দখল করে। ওই পঞ্চায়েতের উদয়পুর সংসদ থেকে তৃণমূলের টিকিটে এ বছর প্রথম নির্বাচিত অজয় অমলবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত। অন্য দিকে, স্থানীয় কালীবাড়ি সংসদ থেকে এ বছর তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে পরপর তিন বার নির্বাচিত প্রশান্ত রায়গঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি পূর্ণেন্দু দের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy