সাহায্যপ্রার্থী: ধর্নায় সপরিবার বৃদ্ধ দম্পতি। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
জমি মাফিয়াদের দাপটে তাঁরা সপরিবার ১৮ দিন ধরে ঘরছাড়া বলে অভিযোগ করে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন গাজলের এক বৃদ্ধ অসহায় দম্পতি।
সুবিচারের আশায় মঙ্গলবার দুপুরে পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন ওই দম্পতি। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়ে যান জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তারা। তড়িঘড়ি ওই দম্পতি ও তাঁদের পরিবারকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত সরে দাঁড়ান ওই বৃদ্ধ দম্পতি ও তার পরিবােরর সদস্যেরা। এরপর পুরো ঘটনাটি নিয়ে গাজল থানার পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ দম্পতির নাম সুবলচন্দ্র দাস ও দীপালি দাস। তাঁদের তিন ছেলে লোকরঞ্জন, শ্যামসুন্দর এবং তড়িৎ। তাঁদের স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানেরাও রয়েছে। সকলকে নিয়েই বৃদ্ধ দম্পতি এ দিন পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে রাস্তায় সুবিচারের আশায় ধর্নায় বসেন। বৃদ্ধ সুবল পেশায় ব্যবসায়ী। গাজল থানার করলাভিটা এলাকার জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় ১৫ কাঠা জায়গার উপর দোতলা বাড়ি রয়েছে। সপরিবার ওই বাড়িতে থাকেন বৃদ্ধ দম্পতি।
সুবলের অভিযোগ , দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় কয়েকজন জমি মাফিয়া দলবল নিয়ে তাঁদের বাড়িটি জবরদখলের চেষ্টা করছে। তারা অল্প দামে বাড়িটি কিনে নিতে চায়। বিক্রি করতে না চাওয়ায় শুরু হয় অত্যাচার। জলের পাইপলাইন ভেঙে দেওয়া হয়। দেওয়া হয় হুমকি। তাঁর আরও অভিযোগ, ষষ্ঠীর দিন অভিযুক্তেরা বাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়ির নীচের দু’টি দোকান। বাড়িতে লুঠপাট করা হয়। বন্দুক দেখিয়ে প্রাণে মারার কথা বলে মাফিয়ারা। ভয়ে ওইদিনই পাশের গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে সপরিবার আশ্রয় নেন তাঁরা। ৫ অক্টোবর এ ব্যাপারে গাজল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। তাঁর দাবি, আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন তাঁরা। ভয়ে বাড়ি যেতে পারছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে ধর্নায় বসেন।
তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে গণতান্ত্রিক আইন অধিকার রক্ষা কমিটি। কমিটির মালদহ জেলা সম্পাদক জিষ্ণু রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ওই পরিবারটি এখন অসহায়। জমি মাফিয়ারা ওঁদের বাড়ি দখল করতে তাণ্ডব চালাচ্ছে। পুলিশ ঘুমিয়ে আছে।’’ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘কেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি বাড়িছাড়া, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy