প্রতীকী ছবি।
সভাধিপতি পদে কে বসবেন, এই প্রশ্ন নিয়েই তোলপাড় কোচবিহার। কেউ ছুটছেন কলকাতা। কেউ ফোনেই রাজ্য নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন। আবার কয়েকজনের নামে দলের মধ্যে থেকে দাবিও তুলে দেওয়া হচ্ছে।
শেষ বাজি কে জিতবেন? তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়।
দলীয় সূত্রের খবর, ওই দৌড়ে কড়া টক্কর হচ্ছে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদের সঙ্গে বিদায়ী সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়ার। পিছনে পিছনে অবশ্য উঠে আসছে একাধিক নাম। ওই তালিকায় রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে পঙ্কজ ঘোষ, তফসিলি জাতির দুই নেতা জগদীশ বর্মন, উমাকান্ত বর্মন থেকে মির হুমায়ন কবীর এবং সুচিস্মিতা দেবশর্মার নাম। কেউই অবশ্য মুখে এই বিষয়ে কিছু বলতে চান না। রবীন্দ্রনাথবাবু কেবল বলেন, “ওই বিষয়ে সঠিক সময়ে রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়ে দেবেন।”
দলীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিদায়ী সভাধিপতি কলকাতা ঘুরে এসেছেন। এখন কলকাতায় আছেন আব্দুল জলিল আহমেদ। বুধবার কলকাতায় রওনা হয়েছেন মির হুমায়ন কবীর। প্রত্যেকেই রাজ্য নেতাদের কাছে দরবার করছেন। যারা কলকাতায় যাননি, তাঁরা কোচবিহার থেকেই ফোনে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। অবশ্য কেউই কিছু বলতে চান না। আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “ব্যক্তিগত কাজে আছি। ওই বিষয়ে কিছু জানি না। যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব এবং দলনেত্রী বলবেন।” একই বক্তব্য হুমায়ন কবীরের। পুষ্পিতা দেবী বলেন, “এই বিষয়ে কিছু বলার নেই।” সদ্য জিতে আসা জেলা পরিষদের সদস্যরা মুখে কলুপ আটলেও তাঁদের নিয়ে হইচই হচ্ছে জেলা জুড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী তথা দিদি জার্মানি সফরে গিয়েছেন। তার আগেই তিনি সব ঠিক করে দিয়ে গিয়েছেন।”
সে ক্ষেত্রে কার নামের পাশে সিলমোহর পড়েছে, তা নিয়ে রাতের ঘুম উবে গিয়েছে একাধিক নেতার।
কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন ২৮ সেপ্টেম্বর। জেলা পরিষদের ৩৩টি আসন তৃণমূলের দখলে রয়েছে। ৩২টি আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা প্রতীক চিহ্ন নিয়ে জয়ী হন। বাকি একটি আসনে যুব তৃণমূলের সমর্থনে নির্দল হিসেবে জয়ী হন কৃষ্ণকান্ত বর্মন। পরে তিনি কলকাতায় গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফের তৃণমূলে যোগ দেন।
এ বারে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতির আসন তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। সে ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসনে জয়ী দু’জনকে জেলা পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে মনে করছেন না অনেকেই। সেখানেই বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা এবারে প্রথম জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে জয়ী আব্দুল জলিলের নাম উঠে আসছে। আবার আর একদিকে গত পাঁচ বছরে জেলা পরিষদের ঝুলিতে একাধিক পুরস্কার এসেছে। বড় কোনও দুর্নীতির ঘটনাও প্রকাশ্যে আসেনি। এই মূল্যায়নে পুষ্পিতার পাল্লা ভারি বলে মনে করছেন অনেকে।
জেলার এক তৃণমূল নেতার কথায়, “নাম ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত শেষ কথা কেউ বলতে পারে না।” তাই সবাই অপেক্ষায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy