গৌতম দেব
পুরসভাকে অন্ধকারে রেখে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাজ্য সরকার উন্নয়নের কাজ করার বিষয় প্রশ্ন তুলেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার পাল্টা জবাবে পুরসভাকেই দুষলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
বৃহস্পতিবার সরকারি হোটেল মৈনাকে তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি উন্নয়ন বৈঠক ডেকেছিলেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের টাকা খরচ করতে পারছে না পুরসভা। তাই আমাদের আলাদা করে উন্নয়নের কাজ করতে হচ্ছে।’’ গৌতমবাবুর দাবি, গত কয়েক বছরে রাজ্য সরকার বেশ কিছু টাকা পুরসভাকে দিয়েছে, পুরভবন তৈরি করা থেকে শুরু করে উন্মুক্ত শৌচবিহীন শিলিগুড়ি করার টাকা এসেছে। কিন্তু কোনও কাজ হনয়ি। পুরভবন তৈরির টাকা ফিরে গিয়েছে। শিলিগুড়িও উন্মুক্ত শৌচবিহীন হয়নি।
গৌতমবাবুর আরও অভিযোগ, হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, এসএফ রোড, বিধান রোড, বর্ধমান রোডের মতো শহরের প্রধান রাস্তাগুলির উন্নয়ন, পরিকাঠামো করার জন্য রাজ্য সরকার প্রচুর টাকা ঢালছে। ম্যাস্টিক করা হয়েছে। কিন্তু পুরসভা কেবলমাত্র সেগুলি থেকে কেবলমাত্র সম্পত্তি কর, বিজ্ঞাপন-সহ নানারকমের কর আদায় করছে। তাই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, এসজেডিএ এবং পূর্ত দফতরের মাধ্যমে কাজ
করতে হচ্ছে।
গৌতমবাবুর দাবি, ‘‘জঞ্জাল পরিষ্কার হচ্ছে না। আর মেয়র বাইরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। আর করের টাকায় ক্যাডার পুষছেন। কাল্পনিক পাওনার দাবি তুলে চিঠি লিখছেন।’’ পুরসভার তরফে বারে বারেই তাঁদের প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার দাবি তুলেছেন মেয়র। সে প্রসঙ্গে গৌতমবাবুর দাবি, পুরসভার প্রাপ্যই যদি হয় তাহলে তিনি আইনী পথে লড়াই করেই সেই টাকা পেতে পারেন। বৈঠকে পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বরো কমিটিগুলির হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
মন্ত্রী দাবি, তৃণমূল অধ্যুষিত ওয়ার্ডগুলি-সহ ১৯টি ওয়ার্ডে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না বলে নানা অভিযোগ উঠেছে। সেগুলিতে পুজোর আগে বেশ কিছু কাজ করবে রাজ্য সরকার। ওয়ার্ড আর্ডার হয়ে গিয়েছে। সেগুলির মধ্যে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি ব্রিজ হবে। অন্য ওয়ার্ডগুলিতে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডেও রাস্তা, নর্দমার কিছু কাজ হওয়ার কথা। কাজ হবে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডেও। এদিন বৈঠকের পর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রিজের কাজ দেখতে সেগুলিও ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।
যদিও শহরের বাইরে থাকার জন্য বিষয়গুলি নিয়ে কিছু বলতে চাননি মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy