দিলীপকুমার সরকার
বেড়াতে এসে মৃত্যু হল বারাসতের বাসিন্দা এক পর্যটকের। বুধবার সকালে মাদারিহাটে হোটেলের ঘরে আচমকাই ওই পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে এ দিনই পর্যটকের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
মৃত পর্যটকের নাম দিলীপকুমার সরকার (৬৪)। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কর্মী দিলীপ বারাসতের নোয়াপাড়ায় থাকেন। তবে তাঁর আসল বাড়ি কোচবিহারের খাপাইডাঙায়। প্রৌঢ়ের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, ১৫ অক্টোবর বারাসত থেকে দশ-বারোজন পর্যটকের একটি দল ভুটান ঘুরতে যায়। ওই দলে দিলীপকুমার সরকার ছাড়াও তাঁর স্ত্রী নমিতাও ছিলেন। সোমবার দলটি ভুটান থেকে মাদারিহাটে পৌঁছয়। মঙ্গলবার জলদাপাড়া ঘোরেন তাঁরা।
দিলীপের সঙ্গীরা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ১০টায় তাঁদের কোচবিহার যাওয়ার কথা ছিল। সারাদিন কোচবিহার ঘুরে রাতে যাওয়ার কথা ছিল মালবাজার। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার কলকাতার ট্রেন ধরার কথা ছিল তাঁদের। মৃতের আত্মীয় কনককিশোর মণ্ডল জানান, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ উঠে তৈরি হতে শুরু করেন দিলীপ। কিন্তু এরপর আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। কনককিশোর বলেন, “সঙ্গে সঙ্গে ওঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অক্সিজেন লাগানোর ঠিক আগে তাঁর মৃত্যু হয়।”
জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পর্যটকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবারই আলিপুরদুয়ার জেলা হাসাপাতালের মর্গে প্রৌঢ়ের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। দিলীপের মৃত্যুর খবর পেয়ে বারাসত থেকে আলিপুরদুয়ারে ছুটে আসেন তাঁর দুই ছেলে। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি থেকেও তাঁর আত্মীয়দের অনেকে আলিপুরদুয়ারে আসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy