আনন্দসফর: রবিবার টয়ট্রেনে বিদেশি পর্যটকেরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
প্রায় দেড় বছর পরে বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে নতুন করে শুরু হল টয়ট্রেনের চার্টার্ড পরিষেবা। রবিবার দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং পর্যন্ত ইভিনিং জঙ্গল সাফারির ওই চার্টার্ড পরিষেবা চালায়।
এ দিন যাত্রী ছিলেন ৩০ জন বিদেশি। বেশিরভাগ ইংলন্ডের। তাছাড়াও, এ দিন সুইৎজ়ারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া থেকেও যাত্রীরা ছিলেন বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। এ দিন টয়ট্রেন চড়ে, পরিষেবায় তাঁরা খুশি বলে জানিয়েছেন ওই পর্যটকেরা। অন্য দিকে, টয়ট্রেনে আবার বিদেশিদের আপ্যায়নের সুযোগ করে দিতে পেরে, ভাল প্রচারের আশা করছে রেল।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অধিকর্তা এমকে নার্জারি বলেন, ‘‘ পরিষেবা অনেকটাই বাড়িয়েছি। বিদেশি পর্যটকদের আসা, আমাদের কাছে যথেষ্ট ইতিবাচক একটা দিক।’’
এর আগে পাহাড়ে আন্দোলন, পরপর বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় প্রভাব পড়েছিল টয়ট্রেন পরিষেবায়। কমে গিয়েছিল, বিদেশি পর্যটক আসার সংখ্যাও। সম্প্রতি রংটং পর্যন্ত ইভিনিং জঙ্গল সাফারিও চালু করেছে রেল। কিন্তু তাতেও যাত্রী প্রায় হচ্ছে না। রংটং পর্যন্ত রুটে বিদেশি পর্যটকেরা এলে তা রেলের নতুন পরিষেবার প্রচারে বাড়তি মাইলেজ যোগ করতে পারে বলে আশা রেল কর্তাদের। তা ছাড়াও, ভিন্ দেশের পর্যটকেরা ওই রুটে সফর করলে বাইরের দেশেদার্জিলিঙের টয়ট্রেনের প্রচার একলাফে বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে আশা তাঁদের।
একটি বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এ দিন ওই পর্যটকদের বেড়াতে নিয়ে এসেছিল। সংস্থার প্রধান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘চার্টার্ড পরিষেবা আগের চেয়ে ভাল করেছে রেল। তাই বিদেশিরাও আসতে চাইছেন।’’
পর্যটকদের এ দিনের ওই দলটির সদস্য ইংলন্ডের বাসিন্দা ক্যারেন নিক্সন-সহ আরও কয়েকজন জানিয়েছেন, তাঁরা রেল পরিষেবায় অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন। ঐতিহ্যবাহী এই টয়ট্রেন পরিষেবা নিয়ে তাঁরা যে সন্তুষ্ট এবং ছোট্ট সফরে তাঁরা যে আনন্দ পেয়েছেন, সে কথা তাঁদের শরীরীভাষায় প্রকাশ পাচ্ছিল। ইংলন্ডের ডেভনশায়ারের বাসিন্দা পর্যটক রড হলকুম্ব বলেন, ‘‘ন’বছর আগে টয়ট্রেনে চড়েছিলাম। কিন্তু আগের চেয়ে পরিষেবায় অনেকটাই ফারাক দেখছি। ইন্টারনেট নিয়েও সচেতনতা বেড়েছে রেলের।’’
রবিবার বিকেল পাঁচটায় শিলিগুড়ি জংশন থেকে ওই চার্টার্ড পরিষেবা চালু হয়। সুকনা হয়ে রংটং পর্যন্ত যান বিদেশি যাত্রীরা। পরে যাত্রীদের দু’টি বাসে করে নামিয়ে নিয়ে আসে পর্যটন সংস্থা। রেলের তরফে কিছু খাবার এবং জলের ব্যবস্থা ছিল। তবে পর্যটকেরা পর্যটন সংস্থার খাবারই খান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy