ফাঁকা: পাহাড়ের পথে।
এ মাসের গোড়ায় ধস নেমেছিল পাগলাঝোরায়। তার জেরে ধাক্কা লেগেছে টয় ট্রেন পরিষেবায়। ধসের কারণে নীচের দিকে শিলিগুড়ি থেকে রংটং পর্যন্ত যাচ্ছে টয় ট্রেন। ভাঙা রুটে পরিষেবা দেওয়ায় ভিড়ও হচ্ছে না পর্যটকদের। তার জেরে মার খাচ্ছে রেলের আয়। টয় ট্রেন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে রোজ প্রায় ৬০ হাজার টাকা করে ক্ষতির মুখে পড়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর) টয়ট্রেন পরিষেবা। তবে কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত পরিষেবায় সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে তারা।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অধিকর্তা এমকে নার্জারি বলেন, ‘‘আমরা এনজেপি থেকে কিছুটা দূর পর্যন্ত পাহাড়ে পরিষেবা চালাতে সারাদিনে একটি ট্রেন চালাচ্ছি। কিন্তু তাতে লোক হচ্ছে না একেবারেই। দেখি কতদিন এই পরিষেবা চালানো যায়।’’ রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত একটিও টিকিট বিক্রি হয়নি।
রেলের কর্তারা জানাচ্ছেন, এনজেপি থেকে শুরু করে দার্জিলিং পর্যন্ত গোটা রুটে ট্রেনের সওয়ারি বেশি থাকে। যেহেতু রংটং বা তিনধারিয়ায় কোনও পর্যটনকেন্দ্র নেই, তাই সেখানে ট্রয় ট্রেনে চেপে যেতে চায় না কেউ। রেলকর্তারা জানান, প্রশাসন যদি সুকনা থেকে রংটং বা তিনধারিয়া পর্যন্ত নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তাহলে পর্যটক সংখ্যা বাড়তে পারে। যদিও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের এরকম কোনও পরিকল্পনা এখনই নেই।
যাত্রী না থাকলে খরচ করে কেন ট্রেন পরিষেবা চালানো হচ্ছে এনজেপি-রংটং রুটে? রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, ব্রিটিশ আমলের ট্রেন লাইন, ট্রেন চলাচল না করলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সময় অল্প করে না চালালে লাইনে জং বেড়ে যাবে বলে জানান তাঁরা।
এর আগে জঙ্গল সাফারি চালু করেছিল ডিএইচআর। শিলিগুড়ি থেকে তিনধারিয়া পর্যন্ত যাতায়াত করত একটি ট্রেন। এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাগলাঝোরায় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ লাইন মেরামতির কাজ এখনও এগোয়নি। কর্তৃপক্ষের দাবি, তা শেষ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy