Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মালদহে কংগ্রেসে মুখে লাজ

উত্তর মালদহে মৌসম নুরের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দলের ভিতরে জোর ডামাডোল শুরু হয়েছে। মৌসমের দল ছাড়ার দিনই প্রদেশ কংগ্রেস প্রাথমিক ভাবে এই আসনে কোতোয়ালি পরিবারের সদস্য ইশা খান চৌধুরীর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল।

সঙ্কট: মৌসমের বিরুদ্ধে কি মোস্তাক আলম, ইশা খান চৌধুরী, না দীপা দাশমুন্সি? নিজস্ব চিত্র

সঙ্কট: মৌসমের বিরুদ্ধে কি মোস্তাক আলম, ইশা খান চৌধুরী, না দীপা দাশমুন্সি? নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৭
Share: Save:

উত্তর মালদহে মৌসম নুরের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দলের ভিতরে জোর ডামাডোল শুরু হয়েছে। মৌসমের দল ছাড়ার দিনই প্রদেশ কংগ্রেস প্রাথমিক ভাবে এই আসনে কোতোয়ালি পরিবারের সদস্য ইশা খান চৌধুরীর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এআইসিসি জেলা কংগ্রেস সভাপতি পদে মোস্তাক আলমকে বসাতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ইশার নাম নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেরই একাংশে আপত্তি ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ইশা এই আসনে দাঁড়ানোটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিতে চাইছেন। আবার এই আসনে কংগ্রেসের একাংশ দীপা দাশমুন্সিকেও চাইছেন। এ ছাড়া মোস্তাক আলম, আসিফ মেহেবুব বা ভূপেন্দ্রনাথ হালদারদের মতো দলীয় বিধায়কেরাও প্রার্থী হতে আগ্রহী। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠেছে।

সোমবার ইশা বলেন, “এই আসনে মৌসমের বিরুদ্ধে লড়াইকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। এআইসিসি সিদ্ধান্ত জানালেই প্রচারের কাজ শুরু করে দেব।” ইশার ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, ইশা বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিয়েই ভোট বৈতরণী পার করেছেন। ২০১১ সালে রাজনীতিতে একেবারেই নবাগত ইশাকে দল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি বৈষ্ণবনগর আসনে দাঁড় করিয়েছিল। এবং সেখানে তিনি বিপুল ভোটে জিতেছিলেন। ২০১৬-য় তাঁকে সুজাপুর আসনে নিজের জেঠা আবু নাসের খান চৌধুরীর (লেবু) বিরুদ্ধে প্রার্থী করে দল। সেবারও বিপুল ভোটে জয়ী হন ইশা।

তবে মৌসমের দলত্যাগের পর এআইসিসি মোস্তাক আলমকে জেলা সভাপতি করে দেওয়ার পরেই ইশার নাম নিয়ে দলেই আপত্তি উঠেছে। এর মধ্যেই অনেকে দীপার নামও প্রস্তাব করেছেন। তাঁদের যুক্তি, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা এলাকা একসময় রায়গঞ্জ লোকসভা এলাকায় ছিল এবং রায়গঞ্জের সাংসদ হিসেবে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি এই এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। সেই আবহেই প্রয়াত প্রিয়রঞ্জনের স্ত্রী দীপাকে প্রার্থী করার তোড়জোড়। এ ছাড়া এবারের ভোটে যদি কংগ্রেস-সিপিএম জোট হয়, তবে রায়গঞ্জ আসনটি সিপিএম দাবি করবে এবং সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে উত্তর মালদহ আসনটিতে দীপা দাঁড়াতে পারেন। যদিও দীপা নিজে জানিয়েছেন, তিনি রায়গঞ্জ আসনেই দাঁড়াতে চান।

এদিকে, জেলা সভাপতি মোস্তাককে দলেরই একটি মহল প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছে। মোস্তাকও বলেন, “দল চাইলে প্রার্থী হতে আপত্তি নেই”। আবার প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোরাফেরা করছে চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহেবুবেরও। তিনি বলেন, “দল যদি চায় প্রার্থী হতে পারি।’’ মালদহ আসনের বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথেরও ঘনিষ্ঠ মহল তাঁকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছে। কংগ্রেসের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক মহম্মদ জাভেদ বলেন, “প্রার্থী চূড়ান্ত করবে এআইসিসি”।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Turmoil Congress Deepa Dasmunsi Mausam Noor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE