আহত: ইসরাইল হকের চিকিৎসা চলছে দিনহাটা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।
সাতসকালে বাজারে পড়ে থাকা ব্যাগ খুলতে গিয়ে রবিবার বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয়েছে দুই কিশোর। তাদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকার মানুষের দাবি, শুক্রবার থেকে দিনহাটায় তৃণমূল ও দলের যুব সংগঠনের মধ্যে ফের লড়াই শুরু হয়েছে। তারই জন্য কেউ ওই বোমা সংগ্রহ করে এলাকায় রেখে গিয়েছিল। সেই বোমা ফেটেই ইসরাইল হক ও লতিফ মিয়াঁ নামে ওই দুই কিশোর আহত হয়েছে।
তৃণমূল ও দলের যুব সংগঠনের মধ্যে এলাকা দখল নিয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষ গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই শুরু হয়েছে। শনিবার রাতেও দিনহাটা ১ ব্লকের পেটলা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আহত দুই ছাত্র এখন দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিজেপির কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি ব্রজগোবিন্দ বর্মনের অভিযোগ, ‘‘শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের শিকার ওই দুই ছাত্র। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই সমাজের সাধারণ মানুষ নানা ভাবে আক্রান্ত হছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পেটলায় তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে শনিবার রাতে গুলি ও বোমাবাজির ঘটনার পর তারাই ব্যাগ ভর্তি বোম রেখে যায়। দুই ছাত্র খেলনা ভেবে তা দিয়ে খেলতে গিয়েই বোমা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে।’’
লতিফ মিয়ার চিকিৎসা চলছে দিনহাটা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
আহত দুই ছাত্র দিনহাটার পেটলা হাই স্কুলের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সম্পর্কে কাকাতো জ্যাঠাতো ভাই বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। আহত ইসরাইল হকের মা এলেকা বিবি ও লতিফ মিয়ার মা লাবলি বিবি জানান, এ দিন সকালে পেটলা বাজার চত্বরে খেলছিল দুই ভাই। সেই সময়ই সেখানে পরে থাকা একটি বোমা নজরে পরে তাদের। সেটিকে পা দিয়ে নাড়াতেই বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে দুজনেই। এলাকায় টহলরত পুলিশ ও স্থানীয়দের তৎপরতায় আহতদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের চিকিৎসা চললেও এদের মধ্যে ইসরাইলের অবস্থা সঙ্কট জনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তৃণমূলের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘‘পেটলার ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। শনিবার রাতে যুব তৃণমূলের নামধারী কিছু দুষ্কৃতি পেটলা বাজারে তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি, বোমা ছোড়ে। শান্তি রক্ষার্থে দলের কর্মীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ওই দুষ্কৃতীরাই হয়তো ব্যাগে বোমা ফেলে যায়।’’ এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দরকার বলে বিধায়ক জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy