Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সেপ্টিক ট্যাঙ্কে পড়ে মৃত্যু

অসাবধানতায় কংক্রিটের ঢাকনা ভেঙে সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে গিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়। উপর থেকে চেষ্টা করেও তাঁকে উদ্ধার করতে না পেরে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমেছিলেন এক প্রতিবেশী। কিন্তু সেপটিক ট্যাঙ্কে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল দু’জনেরই। মালদহের রতুয়ার দক্ষিণ সব্জিপাড়ায় রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে।

নিজস্ব সংবাদদতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪৪
Share: Save:

অসাবধানতায় কংক্রিটের ঢাকনা ভেঙে সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে গিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়। উপর থেকে চেষ্টা করেও তাঁকে উদ্ধার করতে না পেরে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমেছিলেন এক প্রতিবেশী। কিন্তু সেপটিক ট্যাঙ্কে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল দু’জনেরই। মালদহের রতুয়ার দক্ষিণ সব্জিপাড়ায় রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে দমকল এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে। মৃতরা হল জালালুদ্দিন সব্জি (৫৯) ও আলেম সব্জি (৪৫) ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসেই ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা পুলিশ ও দমকলের। একই সঙ্গে দুই প্রতিবেশীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পরিজনদের পাশাপাশি গোটা এলাকা জুড়েই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা করেছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন জালালুদ্দিন সব্জি। সেখান থেকে তড়িঘড়ি বাড়ি ফেরার জন্য মূল রাস্তা না ধরে প্রতিবেশীর বাড়ির পিছন দিকে গলির রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন। রাতে বৃষ্টি হওয়ায় গলির রাস্তা জলেকাদায় ভরে ছিল। কাদা এড়াতে এক প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্কে উঠে পার হওয়ার চেষ্টা করতেই তা ভেঙে তলিয়ে যান তিনি। তখন হাতে একটি বাঁশ নিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কে নামেন আলেম। কিন্তু নিমেষের মধ্যে নিস্তেজ হয়ে তিনিও তলিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এরপর আর কেউ সেপটিক ট্যাঙ্কে নামার সাহস পাননি। ওই ঘটনার পর রতুয়ায় ফের দমকলের দাবি উঠেছে। রতুয়ায় দমকল কেন্দ্র চালু করার দাবি বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের। মৃত জালালুদ্দিনের ছেলে মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘‘চাঁচল থেকে দমকল আসতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। রতুয়ায় দমকল থাকলে ওদের হয়ত বাঁচানো যেত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

septic tank
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE