বন্ধুর সঙ্গে পুজোর বাজার করতে এসেছিলেন কলেজ পড়ুয়া দুই বোন। বাজার সেরে ফরাক্কা এক্সপ্রেসে করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। যে স্টেশনে ট্রেন থামার কথা নয়, সেখানেই তাঁরা নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাতে এক বোনের পা কেটেছে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দিদির দুই পা কাটা গিয়েছে। তখন চেন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন তাঁদের বন্ধু এক যুবক। সেই যুবককে রেলের নিরাপত্তা রক্ষীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ।
বুধবার রাতে মালদহের কালিয়াচক থানার চামাগ্রাম স্টেশন চত্বরে এই ঘটনায় গুরুতর জখম ওই দুই বোন সহ তাঁদের বন্ধু ওই যুবক ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। আহত দুই বোনের নাম রিঙ্কি ও কনক মণ্ডল। তাঁদের বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। আহত যুবক প্রসেনজিৎ মণ্ডল চামা গ্রামের বাসিন্দা। এ দিনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেলপুলিশ।
রিঙ্কি, কনকের বাবা সুবীর মণ্ডল রেলের কর্মী। তিনি মালদহের ঝলঝলিয়া কর্মরত। তাঁর তিন ছেলে মেয়ে। বড়ো মেয়ে রিঙ্কি ভাগলপুর কলেজের সংস্কৃত অর্নাসের তৃতীয় বর্ষে এবং ছোট মেয়ে কনক দক্ষিণ মালদহ কলেজের সাধারণ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ওই কলেজেই পড়াশোনা করে প্রসেনজিৎও। তাঁর সঙ্গে রিঙ্কির বিয়ে ঠিক হয়েছে। পুজো উপলক্ষে তিন জন মিলে ইংরেজবাজার শহরে বাজার করতে এসেছিলেন। বাজার সেড়ে মালদহ টাউন স্টেশন থেকে ফরাক্কা এক্সপ্রেসে ওঠেন তাঁরা।
রাত ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছয় চামাগ্রাম স্টেশনে। তবে চামাগ্রাম স্টেশনে ফরাক্কা এক্সপ্রেসের কোনও স্টপ নেই। ওই স্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ফরাক্কা স্টেশন। সেখানেই স্টপ দেয় ট্রেনটি। তবে চামাগ্রাম স্টেশনে ট্রেনটির গতি কমতেই নামতে যান কনক। তারপরেই দুর্ঘটনায় পড়েন দুই বোনে। চেন টেনে ট্রেন থামান প্রসেনজিৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy