Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফের জাল দু’হাজার উদ্ধার

নোটবন্দির পরেও লাগাতার কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগরে জালনোট উদ্ধার হতে থাকায় উদ্বিগ্ন পুলিশ, বিএসএফ এবং গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম নাজমা বিবি।

উদ্ধার: জাল নোট। —নিজস্ব চিত্র।

উদ্ধার: জাল নোট। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৫৮
Share: Save:

নোটবন্দির বর্ষপূর্তির দিনেই নয়া দু’হাজারের জালনোট উদ্ধার হয়েছিল মালদহের কালিয়াচকে। মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ফের ধরা পড়ল নয়া দু’হাজারের জালনোট। এবারে ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানার পূর্ব বেদরাবাদ গ্রামে। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে জালনোট সমেত এক মহিলাও গ্রেফতার হয়েছে।

নোটবন্দির পরেও লাগাতার কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগরে জালনোট উদ্ধার হতে থাকায় উদ্বিগ্ন পুলিশ, বিএসএফ এবং গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম নাজমা বিবি। তার স্বামী উজির শেখ গ্রামে ভিনরাজ্যের শ্রমিক হিসেবে পরিচিত। তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯৬ হাজার টাকার নয়া দু’হাজারের নোট। ঘটনায় অধরা নাজমার স্বামী উজির। শনিবার ধৃত মহিলাকে সাত দিনের হেফাজতে চেয়ে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। বিচারক ধৃতকে ছ’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “মহিলাকে হেফাজতে নিয়ে তার স্বামীর খোঁজ করা হবে।”

কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর সহ মালদহ জেলা জুড়েই সক্রিয় জালনোটের কারবারিরা। ২০১৬ সালের জেলায় জালনোট উদ্ধার হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। ওই বছরই ৮ নভেম্বর কেন্দ্র সরকার পুরনো ৫০০ ও ১০০০-এর নোট বাতিল করে দেয়। জালনোট কারবার রোখা নোটবন্দির অন্যতম কারণ ছিল। তবে তার পরেও মালদহের সীমান্তবর্তী এলাকায় জাল নোটের কারবার চলছেই। গত ২৩ জানুয়ারি বৈষ্ণবনগরের মজনুটোলা থেকেই প্রথম উদ্ধার হয় নয়া দু’হাজারের জালনোট। তার পর একের পর এক জালনোট উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে জেলায়। এমনকী, নোটবন্দির বর্ষপূর্তির দিনই কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জ এলাকা থেকে ন’লক্ষ ৭০ হাজার টাকার জালনোট সহ গ্রেফতার হয় এক্রামুল শেখ। তিন দিনের মধ্যে আরও একবার জালনোট উদ্ধারের ঘটনা ঘটল। পুলিশ জানিয়েছে, বৈষ্ণবনগর থানার সাহাবানচক পঞ্চায়েতের পূর্ব বেদরাবাদ গ্রামে হানা দিয়ে ৪৮টি দু’হাজারের জালনোট উদ্ধার হয়। ধৃত নাজমা প্রাথমিক জেরাতে স্বীকারও করেছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, জালনোট কারবারের ঘটনায় বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার হয়েছিল উজির। সেখানে তিন বছর জেলেও খেটেছে। বছর দেড়েক আগে সে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের জালনোট কারবারের যুক্ত হয়ে পড়ে।

বাসিন্দাদের দাবি, ভিনরাজ্যের শ্রমিকের কাজ করায় বছরের পর বছর বাড়িতে আসত না উজির। তার তিন ছেলে মেয়েও রয়েছে। সম্প্রতি ভাল একটি বাড়িও তৈরি করেছিল উজির। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা স্বামী মতিউর রহমান বলেন, “ওই পরিবার জালনোট কারবারের সঙ্গে যুক্ত তা আমাদের জানা ছিল না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fake Currency জালনোট
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE