Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ি ফিরে গেলেন বিপ্লব

শহরের স্টেশন ফিডার রোডে দু’দিন ভর্তি থাকার পর ইসলামপুরের দাড়িভিট গ্রামের গুলিবিদ্ধ ছাত্র বিপ্লব সরকারকে তাঁর বাড়ির লোকজনেরা বাড়িতে নিয়ে গেলেন। সোমবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে। 

ছাত্র: বিপ্লব সরকার

ছাত্র: বিপ্লব সরকার

শিলিগুড়ি
শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০৯
Share: Save:

শহরের স্টেশন ফিডার রোডে দু’দিন ভর্তি থাকার পর ইসলামপুরের দাড়িভিট গ্রামের গুলিবিদ্ধ ছাত্র বিপ্লব সরকারকে তাঁর বাড়ির লোকজনেরা বাড়িতে নিয়ে গেলেন। সোমবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ইসলামপুর দাড়িভিট হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হন ওই স্কুলের ছাত্র বিপ্লব। তাঁর বা পায়ের হাঁটুর কাছে গুলি লাগে তাঁর। সেই অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোকজনেরা। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে গত শনিবার শিলিগুড়িতে আনা হয়। সেখানে আইসিইউতে রেখে তার চিকিৎসা চলছিল। বিপ্লবের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, নার্সিংহোমে ভর্তি থাকার সময়েও ঘুমের ঘোরে সে দিনের কথা ভেবে চমকে উঠছেন বিপ্লব। প্রতিনিয়ত তাঁকে সে দিনের সেই ভয়াবহ ঘটনা তাড়া করে বেড়াত। তাই বাড়ির লোকেরা গেলেই তিনি ফিরে যেতে চাইতেন।

বিপ্লবের বাবা গোবিন্দবাবু এ দিন ফোনে বলেন, ‘‘ছেলেকে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাব। তাই শিলিগুড়ির নার্সিংহোম থেকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।’’

নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লবের পা থেকে গুলি বার হয়ে গিয়েছে। সেই জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে। গুলির আঘাতে সেখানে স্নায়ুর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। একমাত্র দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার মাধ্যমেই সেটা সারিয়ে তোলা সম্ভব।

বিপ্লবের এক সম্পর্কিত দাদা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি সপ্তাহেই বিপ্লবকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। ওর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা জরুরি। বাড়ির অনেকেই ভয় পাচ্ছেন, শেষে পায়ের কোনও বড়সর ক্ষতি না হয়ে যায়। তাই বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Student SFI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE