গৌতম দেব
আইনজীবীদের দাবি মেনে তাঁদের পরামর্শেই তৈরি হবে আদালতবাড়ির নতুন ভবনে নির্মাণ পরিকল্পনা। সোমবার সার্কিট হাউজে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের পৌরহিত্যে আইনজীবী এবং প্রশাসনের মধ্যে একটি সমঝোতা-বৈঠক হয়।
বৈঠকে জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত, পূর্ত ইঞ্জিনিয়র ছাড়াও বার কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন। বৈঠক শেষে গৌতম জানান, নতুন ভবন সত্যিই প্রয়োজন। আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীরা অনেকদিন ধরেই চাইছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আইনজীবীদের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ররা আদালতভবন তৈরির একটি পরিকল্পনা তৈরি করবেন। তারপর তা কলকাতা হাইকোর্টের বিবেচনা এবং অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।’’ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি আদালতের গ্রন্থাগারে ওই বৈঠক হওয়ার কথা। মন্ত্রী আরও জানান, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা মেনে মডেল আদালতবাড়ির জন্য হয় একটি দশতলার একটি ভবন অথবা পাঁচতলার দু’টি ভবন তৈরি করা হবে।
প্রায় দেড় মাস হল আদালতবাড়ির জন্য আদালত চত্বরে মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন করেন আইনজীবীরা। গত শনিবার রাতে প্রশাসন ওই মঞ্চ ভেঙে দেওয়ায় বিক্ষোভ ছড়ায়। পরে আইনজীবীরা এবং প্রশাসন উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এ দিনের বৈঠকে ওই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। আইনজীবীদের কর্মবিরতি তোলার অনুরোধও করেন মন্ত্রী। শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, ‘‘কর্মবিরতি নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সিদ্ধান্ত নেব আমরা।’’ মঙ্গলবার সকালেও কাজ হবে না বলেই আশঙ্কা।
আইনজীবীরা দাবি করেন, আদালত ভবন তৈরিতে পদক্ষেপ না করলে এসডিও দফতর তৈরি করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘দু’টিকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ আদালত চত্বরেই পুরনো এসডিও দফতর নতুন করে তৈরির কথা। টাকা এসেছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবারে কলকাতা যাচ্ছেন গৌতম। তিনি জানান, নতুন আদালত ভবনের জন্য বরাদ্দ নিয়ে আইন ও বিচারমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, নতুন ভবন তৈরি করতে গেলে এসডিও অফিসের নির্মাণ পরিকল্পনায় রদবদল প্রয়োজন। তবে সবটাই নির্ভর করছে পরবর্তী আলোচনার উপর। এ দিন ৫০টি ফৌজদারি মামলায় সওয়াল করেননি আইনজীবীরা। সরকারি আইনজীবী সুদীপ বাসুনিয়া জানান, রিমান্ড এবং নথি তলবের মতো মাত্র ৪টি মামলার শুনানি হয়েছে এ দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy