মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
কারখানা বন্ধের অভিযোগে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র নেতাদের নামে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠাল নর্থবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার ওই অভিযোগ পাঠান হয়েছে।
সম্প্রতি জোর করে ঢুকে মালিক, ম্যানেজার ও অন্য কর্মীদের মারধর, ভাঙচুর করে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে বটলিফ কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে স্থানীয় আইএনটিটিইউসি নেতা মহম্মদ সাবুল-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। কারখানার মালিক সতীশ আগরওয়ালের অভিযোগ, বুধবার ওই ঘটনার পর থেকে তাঁরা কারখানা খোলা রাখলেও কোনও শ্রমিককে ঢুকতে দিচ্ছেন না আইএনটিইউসির নেতারা। ফলে বন্ধ উৎপাদন। মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করে দ্রুত সমস্যা না মেটালে জলপাইগুড়ি জেলার সমস্ত কারখানা বন্ধ রেখে টানা প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করার হুমকি দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশেনর সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ পাল। তিনি বলেন, ‘‘বার বার শিল্পের উপর রাজনৈতিক হামলা মেনে মেনে নেওয়া যাবে না। আমরা জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির সমস্ত শিল্পপতি, দেশের বিভিন্ন শিল্প সংগঠন, বিভিন্ন শিল্প তালুকের কারখানা মালিকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছি। এ বার একসঙ্গে আন্দোলনে নামা হবে।’’
পুলিশ ও তৃণমূল নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কারখানা মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিনই মূল অভিযুক্ত সাবুল-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। সুরজিৎয়ের অভিযোগ, পুলিশ অভিযোগ লঘু করে দেখানোয় বৃহস্পতিবারই আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা আইএনটিটিইউসিকে সামনে রেখে কোনও বড় নেতা মালিকপক্ষকে কারখানা বিক্রি করাতে বাধ্য করতে চাইছেন।’’ একই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সতীশও। কে সেই নেতা? স্পষ্ট করে কোনও উত্তর দেননি কেউই।
এলাকার তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, ‘‘ঘটনার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানান হয়নি। না জানলে সমাধান করতে পারব না। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান হচ্ছে।’’
হামলার ঘটনায় জড়িত কারখানার ১০ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করা হবে বলেই জানিয়েছেন সতীশ। তিনি আরও জানিয়েছেন যদি কয়েক দিনের মধ্যে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেন তাহলে অন্য এলাকা থেকে শ্রমিক এনে কারখানা খুলবেন তাঁরা। অভিযুক্তদের সঙ্গে কোনওপ্রকার আলোচনায় বসা হবে না বলেও জানান তিনি।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘পুলিশ আইন অনুসারে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সবটাই নিয়েছে। কারখানায় পুলিশ পিকেটিংও বসান হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy